নিঘা-শিবপুর রোডে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
তিন মাসের বেশি সময় ধরে রেশন-সামগ্রী মিলছে না, এই অভিযোগে শুক্রবার নিঘা-শিবপুর রোড প্রায় ছয় ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। খাদ্য নিয়ামক দফতরের আধিকারিকেরা রেশন দোকানটি ‘সিল’ করে দ্রুত অন্য জায়গা থেকে সামগ্রী দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলে বিক্ষোভ থামে।
খাদ্য নিয়ামক দফতরের জামুড়িয়া এক ব্লকের চিফ ইনস্পেক্টর তপন রক্ষিত জানান, রেশন সামগ্রী মজুত থাকা সত্ত্বেও ডিলার উপভোক্তাদের বঞ্চিত করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে জামুড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এ দিন অরাজনৈতিক ভাবে স্থানীয় বাসিন্দারা রেশন দোকান খোলা না পেয়ে রাস্তা অবরোধ করেন। তাতে যোগ দেন কংগ্রেস নেতা ফিরোজ খান, সিপিএমের নিঘা অঞ্চল সম্পাদক বিনয় পাসোয়ান, বিজেপির জেলা সদস্য প্রমোদ পাঠক, তৃণমূলের জামুড়িয়া এক ব্লক সভাপতি তথা আসানসোল পুরসভার মেয়র পারিষদ (শিক্ষা) সুব্রত অধিকারী প্রমুখ।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, তিন মাসের বেশি সময় ধরে রেশন ডিলার সানি আনসারি দোকান খুলছেন না। মাঝে মাঝে পাশের একটি দোকানে বায়োমেট্রিক যন্ত্র নিয়ে গিয়ে উপভোক্তাদের হাতের ছাপ নিয়ে ‘স্লিপ’ দিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু কেউ সামগ্রী পাচ্ছেন না। স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ সামসাদ, দীনেশ যাদব, বিনোদ সিংহদের দাবি, প্রায় তিন মাস আগে তাঁদের হাতের ছাপ নিয়ে ‘স্লিপ’ দেওয়া হয়েছে। এর পর বিভিন্ন সময় তাঁদের দোকানে আসতে বলা হলেও, দোকান খোলা পাননি। বাধ্য হয়ে এ দিন সকলে মিলে অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ নিঘা-শিবপুর মোড়ে ডাকঘরের কাছে রাস্তা অবরোধ শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অবরোধ তুলে নিতে বলে। তাতে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের বচসা শুরু হয় উপভোক্তারা বকেয়া সামগ্রী মিটিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত অবরোধ তুলবেন না বলে পুলিশকে জানিয়ে দেন। এর পর তাঁরা রেশন ডিলার সানি আনসারিকে ঘটনাস্থল নিয়ে এসে এর বিহিত করতে হবে বলে সরব হন। এত কিছুর পরেও রেশন ডিলার সেখানে আসেননি বলে অভিযোগ। বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাঁর পরিবারের তরফে জানানো হয় তিনি বাড়িতে নেই। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন খাদ্য নিয়ামক দফতরের জামুড়িয়া এক ব্লকের চিফ ইনস্পেক্টর (সিআই)-সহ দুই আধিকারিক।
সিআই তপন রক্ষিত পুলিশের উপস্থিতিতে রেশন দোকানটি বন্ধ ‘সিল’ করে দেন। তপন জানান, এই ডিলারের অধীনে প্রায় তিন হাজার উপভোক্তা আছেন। তাঁদের অন্য এক ডিলারের মাধ্যমে রেশন সামগ্রী দেওয়া হবে। তার প্রক্রিয়াগত কাজ এ দিন থেকেই শুরু হয়েছে বলে জানান তপন। চেষ্টা করেও অভিযুক্ত রেশন ডিলার সানি আনসারির সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy