ছবি: সংগৃহীত
‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে সংঘর্ষ বাধল তৃণমূল, বিজেপির। বৃহস্পতিবার বিকেলে গলসি ১ ব্লকের লোয়া-কৃষ্ণরাম অঞ্চলের ওই ঘটনায় বিজেপির দুই কর্মী ও তৃণমূলের এক জন আহত হয়েছেন। অনুকুল বাগদি ও শেখ পারভেজ আহম্মেদ নামে দু’জন পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেলে ওই অঞ্চলের কেন্দুয়াটিকুড়ি গ্রামে জনসংযোগ কর্মসূচি ছিল তৃণমূলের। বিধায়ক অলোককুমার মাজির সঙ্গে সেখানে যাচ্ছিলেন লোয়া ও ঘাগড়া গ্রামের তৃণমূল কর্মীরা। লোয়াপুরের পুলের কাছে তৃণমূলকর্মীদের সঙ্গে বচসা বাধে বিজেপির। ‘হাতাহাতি’ও হয়। অভিযোগ, এর পরেই লাঠি, রড নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ।
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জাকির হোসেনের অভিযোগ, “বিজেপি ইচ্ছাকৃত ভাবে অশান্তি বাধাচ্ছে। আমাদের কর্মীরা সভায় যাতে যেতে না পারেন, সে জন্য ওরা পথ আটকায়। প্রতিবাদ করতেই সংঘর্ষ বাধে।’’ বিজেপির লোকজন বিধায়কের উপরে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল বলেও তাঁর দাবি। বিধায়কও বলেন, ‘‘লোয়াপুরে কী হয়েছে, ঠিক খবর পাইনি। তবে কসবায় আমাদের গাড়ি ঘিরে ধরে বিজেপির কয়েকজন। আমাকে তাক করে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। পুরো অঞ্চল জুড়ে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।’’
অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বিজেপির গলসি জেডপি ৫৭ যুব মোর্চার সভাপতি বিজয় বাগদির পাল্টা দাবি, “লোয়াপুরে একটি চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলাম। ওই রাস্তা দিয়ে সভায় যাওয়ার পথে তৃণমূলের কর্মীরা আমাদের উপরে আচমকা চড়াও হয়। মারধর করে। আমাদের এক কর্মী গুরুতর জখম। আমিও আক্রান্ত।’’ দলের গলসি বিধানসভার আহ্বায়ক রমেন শর্মারও দাবি, “কসবায় আমরা নতুন পাটি অফিস তৈরি করেছি। সেটা ভেঙে দেওয়ার জন্যই ওই এলাকায় সভা করছিল তৃণমূল। তৃণমূল গণতন্ত্র ভেঙে ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছে।’’ পুলিশ জানায়, দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। তবে রাত পর্যন্ত কোনও পক্ষই অভিযোগ করেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy