Advertisement
১৮ নভেম্বর ২০২৪

নোটের ধাক্কায় বিক্রি কম কেকের

সামনে বড়দিন। অন্যান্য বছর এই সময়ে নাওয়া-খাওয়ার সময় থাকে না শিল্পাঞ্চলের কেক কারখানা ও বেকারিগুলির। কিন্তু এ বার নোট-বাতিলের পরে গত বারের মতো বরাত পাওয়া তো দূরঅস্ত, উৎপাদন খরচই উঠবে কি না, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছে কেক প্রস্তুতকারকেরা।

দেখা নেই ক্রেতার। —নিজস্ব চিত্র।

দেখা নেই ক্রেতার। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:৪৪
Share: Save:

সামনে বড়দিন। অন্যান্য বছর এই সময়ে নাওয়া-খাওয়ার সময় থাকে না শিল্পাঞ্চলের কেক কারখানা ও বেকারিগুলির। কিন্তু এ বার নোট-বাতিলের পরে গত বারের মতো বরাত পাওয়া তো দূরঅস্ত, উৎপাদন খরচই উঠবে কি না, তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছে কেক প্রস্তুতকারকেরা।

প্রায় একশো বছরের পুরনো কেক প্রস্তুতকারক একটি সংস্থার মালিক আসানসোলের মহম্মদ কামরুদ্দিন। দক্ষিণঙ্গের বেশির ভাগ এলাকায় তিনি কেক সরবারহ করেন। তাঁর আক্ষেপ, ‘‘গত বছরের তুলনায় এ বার অর্ধেক বরাতও মেলেনি। দেখা যাক, শেষমেশ অবস্থা ফেরে কি না।’’ একই হাল শহরের অন্য আরও একটি কেক প্রস্তুতকারক সংস্থার মালিক আবু তাহেরের। তাঁর দাবি, ‘‘নোট-বাতিলের পরে খুচরো ব্যবসায়ীরা মাল নিচ্ছেন না। পাইকারি বরাতও কম। তাই মেপে কেক তৈরি করছি।’’ কেক প্রস্তুতকারক সংস্থার মালিকেরা জানান, কাঁচামাল নগদ দিয়েই কিনতে হয়। কিন্তু ব্যাঙ্ক থেকে প্রয়োজনমতো টাকা না মেলায় সমস্যা হচ্ছে।

বড়দিনে কেকের বাজার তেমন জমেনি বলে দাবি বিক্রেতাদেরও। আসানসোল বাজারের কেক বিক্রেতা মহম্মদ আনোয়ারের দাবি, ‘‘বাজারে মন্দা। তাই রয়েসয়ে বেকারিতে বরাত দিচ্ছি।’’ অন্যান্য বার বড়দিনের পাঁচ দিন আগে থেকেই বাজারে ক্রেতার দেখা মিললেও এ বার ছবিটা আলাদা।

এই পরিস্থিতিতে শহরের অভিজাত পরিবারগুলিও কেকের বরাত দিচ্ছেন না বলে দাবি হাটন রোড এলাকার একটি বেকারির মালিক মহম্মদ কামরুদ্দিন। অন্যান্য বার এই সময় অধিকাংশ বেকারিতে বাড়তি কর্মী দরকার হয়। এ বার তাও নেই।

শেষ পর্যন্ত অবশ্য কেক প্রস্তুতকারকদের আশা, ইংরেজি নববর্ষের সময়ে হয়তো ছবিটা বদলাবে।

অন্য বিষয়গুলি:

demonetisation cakes christmas
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy