রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ-সহ বেশ কিছু সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে দশটি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন দেশ জুড়ে সাধারণ ধর্মঘট ডেকেছে ৮ জানুয়ারি। রাজনৈতিক অভিসন্ধি থেকেই এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘ (বিএমএস) ওই ধর্মঘটে শামিল হবে না বলে জানিয়েছে। যদিও বিলগ্নিকরণ-সহ কয়েকটি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠি দিয়ে বিএমএস জানিয়েছে, ৩ জানুয়ারি দেশ জুড়ে সব জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।
কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির সঙ্গে একযোগে বিএমএস-কে দুর্গাপুরে অ্যালয় স্টিল প্ল্যান্টের বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু ৮ জানুয়ারি বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা সাধারণ ধর্মঘটে বিএমএস যোগ দিচ্ছে না বলে জানিয়েছে। বিএমএস নেতৃত্বের দাবি, ট্রেড ইউনিয়ন শ্রমিক-স্বার্থে কাজ করে। কিন্তু ধর্মঘট ডাকা হয়েছে রাজনৈতিক অভিসন্ধিতে প্রভাবিত হয়ে। তাঁদের দাবি, বিএমএস রাজনৈতিক প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে কাজ করে আসছে। কিন্তু বাকি ট্রেড ইউনিয়নগুলি সরাসরি বা পরোক্ষ ভাবে কোনও না কোনও রাজনৈতিক দল দ্বারা প্রভাবিত। ৮ জানুয়ারি কয়েকটি রাজনৈতিক দল বন্ধ ডেকেছে। তাই সে দিনই সাধারণ ধর্মঘট ডেকেছে ওই ট্রেড ইউনিয়নগুলি। এই ধর্মঘটের বিরোধিতা করে সব শ্রমিককে কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন বিএমএস নেতারা।
বিলগ্নিকরণের বিরুদ্ধে
• ৮ জানুয়ারি দেশ জুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক।
• ধর্মঘটে যোগ দিচ্ছে দশটি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন।
• ৩ জানুয়ারি আলাদা বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক বিএমএসের।
• সাধারণ ধর্মঘটে শ্রমিক-কর্মীদের কারখানায় কাজে যোগ দিতে আহ্বান বিএমএসের।
বিএমএস প্রভাবিত ‘অল ইন্ডিয়া স্টিল ফেডারেশন’-এর সহ-সভাপতি অরূপ রায় বলেন, ‘‘ট্রেড ইউনিয়ন শুধু শ্রমিকদের কল্যাণের জন্য কাজ করবে। সেখানে ধর্মঘট ডেকে সব অচল করে দেওয়া অর্থহীন। বিএমএস ৩ জানুয়ারি কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সব জেলায় বিক্ষোভ-কর্মসূচি পালন করবে। কিন্তু কোনও ভাবেই ৮ জানুয়ারি ধর্মঘটে শামিল হবে না। সাধারণ শ্রমিক-কর্মীদের সে দিন কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।’’
বিএমএসের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ সিটু, আইএনটিইউসি-সহ বাকি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি। সিটুর পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি বিনয়েন্দ্র কিশোর চক্রবর্তীর পাল্টা অভিযোগ, ‘‘বিএমএস ইউপিএ সরকারের আমলে যৌথ আন্দোলনে যোগ দিত। কিন্তু এখন কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সে ভাবে সরব হচ্ছে না। কিন্তু, মানুষকে তা বুঝতে না দেওয়ার জন্য আলাদা ভাবে বিক্ষোভ কর্মসূচি করছে।’’
আইএনটিইউসি জেলা সভাপতি বিকাশ ঘটকের বক্তব্য, ‘‘শ্রমিক ও শিল্পের স্বার্থে এই আন্দোলন। সব বড় ট্রেড ইউনিয়ন একজোট হয়েছে। সেখানে আলাদা ভাবে কেউ কর্মসূচি নেওয়ার অর্থ, কেন্দ্রের হাত মজবুত করা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy