Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

ছন্দে ফিরছে মেডিক্যাল

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বহির্বিভাগে অন্যান্য দিন প্রায় ১০ হাজার রোগীর ভিড় হয়। এনআরএস-কান্ডের জেরে গত মঙ্গলবার থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলছিল। বন্ধ ছিল বহির্বিভাগ।

রোগী দেখায় ব্যস্ত জুনিয়র ডাক্তারেরা। নিজস্ব চিত্র

রোগী দেখায় ব্যস্ত জুনিয়র ডাক্তারেরা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৯ জুন ২০১৯ ০০:৩৮
Share: Save:

ছ’দিন পরে খানিক চেনা ছন্দে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল।

মঙ্গলবার বহির্বিভাগ ও অন্তর্বিভাগে চিকিৎসা করতে দেখা গেল জুনিয়র ডাক্তারদের। তবে পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে আরও দু’এক দিন সময় লাগবে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি। হাসপাতাল সুপার তথা কলেজের উপাধ্যক্ষ উৎপল দাঁ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরে সোমবার রাত থেকে কর্মবিরতি তুলে নিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। পরিষেবাও দিচ্ছেন। গত কয়েক দিনের তুলনায় মঙ্গলবার রোগীদের ভিড়ও বেশি ছিল। তবে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে আরও দু’এক দিন সময় লাগবে বলে মনে হচ্ছে।’’

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বহির্বিভাগে অন্যান্য দিন প্রায় ১০ হাজার রোগীর ভিড় হয়। এনআরএস-কান্ডের জেরে গত মঙ্গলবার থেকে জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলছিল। বন্ধ ছিল বহির্বিভাগ। জরুরি চিকিৎসা ছাড়া পরিষেবা মিলছিল না, দাবি রোগী পরিবারের। এর মধ্যেই শুক্রবার থেকে সিনিয়র চিকিৎকেরা জরুরি বিভাগের ভিতর বসে বহির্বিভাগের পুরনো টিকিট রয়েছে, এমন রোগীদের পরিষেবা দেওয়া শুরু করেন। ওই দিন প্রায় দেড় হাজার রোগী পরিষেবা পান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, এ দিন বহির্বিভাগ খুলতেই প্রায় তেরশো নতুন রোগী চিকিৎসা করিয়েছেন। চিকিৎসা পরিষেবা পেয়েছেন দু’হাজার পুরনো রোগী। অন্য সময় হাসপাতালে দিনে আনুমানিক পাঁচশো রোগী ভর্তি হন। গত ২৪ ঘন্টায় রোগী ভর্তির সংখ্যা তিনশোর বেশি।

এ দিন বাঁকুড়ার পাত্রসায়র থেকে বহির্বিভাগে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন সুদীপ দেব। ক্রমাগত বমি ও মাথা যন্ত্রণায় ভুগছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে থাকা কিশোর দেব জানান, তিন বার বহির্বিভাগ থেকে ঘুরে গিয়েছেন তাঁরা। সোমবার রাতে হাসপাতাল খুলছে শোনার পরেই এ দিন সকালে চলে আসেন। বর্ধমান শহরের তেজগঞ্জের নিমাই সাহাকে কুকুরে কামড়েছিল। সাধারণ পরিষেবা বন্ধ থাকায় হাসপাতাল থেকে প্রতিষেধক পাননি তিনি। এ দিন তাঁকে দেখা গেল প্রতিষেধক নেওয়ার লাইনে। এই ক’দিনে কেমোথেরাপি না মেলার অভিযোগ করেছিলেন বেশ কিছু ক্যানসার আক্রান্ত রোগীর পরিবার। তাঁদের দাবি ছিল, কর্মবিরতির জন্য ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের। এ দিন অবশ্য কেমো পেয়েছেন আক্রান্তেরা। কেতুগ্রামের আরনা গ্রামের কেমিরা বিবি বলেন, ‘‘পরপর দু’দিন হাসপাতালে এসেও কেমো পাইনি। এ দিনও সন্দেহ ছিল। তবে পরিষেবা পেয়েছি।’’

জুনিয়র ডাক্তারদেরও দাবি, অচলাবস্থা চাননি তাঁরা। কাজে ফিরতে পেরে খুশি তাঁরাও।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy