প্রতীকী ছবি। ফাইল চিত্র
ভিক্ষা দেওয়ার নামে বাড়িতে ডেকে এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে গলসিতে। অভিযোগ, ভিখারিনীর কাছে থাকা নগদ টাকাও হাতিয়ে নিয়েছে অভিযুক্ত। বুধবার দুপুরের গলসির বড়মুড়িয়ার এই ঘটনায় অভিযুক্ত জাবেদ আলি মল্লিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বছর ষাটের ওই মহিলাকে বৃহস্পতিবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। কোভিড পরীক্ষার পরে গোপন জবানবন্দি নেওয়ার কথাও বলা হয়। গলসি থানার এক পুলিশ কর্তা বলেন, ‘‘ধর্ষণের একটা অভিযোগ হয়েছিল। আমরা অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছি।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার বাড়ি বীরভূম জেলার রামপুরহাটে। স্বামী-স্ত্রী দু’জনে মিলে ভিক্ষা করেই সংসার চালান তাঁরা। ভিক্ষা করতে ট্রেনে চড়ে গলসিতেও আসেন। সেখানে কুলগড়িয়া চটি এলাকায় সেচখালের পরিত্যক্ত অফিস ঘরে দু-তিন দিন থেকে আশপাশের সাঁকো, কুলগড়িয়া, বড়মুড়িয়ার মতো গ্রামে ভিক্ষা করেন। তারপরে আবার বীরভূমে ফিরে যান। স্বামী একটি গ্রামে গেলে স্ত্রী অন্য গ্রামে যান। দিনভর ঘুরে রাতে ওই সেচখালের অফিস ঘরে থাকেন তাঁরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’দিন আগে কুলগড়িয়ায় আসেন ওই দম্পতি। বুধবার নির্যাতিতা যান বড়মুড়িয়া গ্রামে। ওই গ্রামেই থাকেন বিপত্নীক অভিযুক্ত। অভিযোগ, চাল ও টাকা দেওয়ার নামে ওই বৃদ্ধাকে বাড়ির ভিতরে ডাকেন তিনি। গ্রামে প্রায় সবাই পরিচিত হওয়ায় দ্বিধা করেননি বৃদ্ধা। পুলিশের দাবি, তিনি তাঁদের জানিয়েছেন, বাড়ি ঢুকিয়ে অভিযুক্ত জোর করে ধর্ষণ করে। তাঁর কাছে থাকা নগদ তিন হাজার টাকা ও চালও ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বৃদ্ধার স্বামী বলেন, ‘‘সন্ধ্যায় ফিরে স্ত্রীর কাছে পুরো ঘটনা জেনে ওই গ্রামে যাই। ওঁরাই পুলিশের কাছে পাঠান।’’ সাঁকো পঞ্চায়েতের প্রধান মহম্মদ আলি মোল্লা বলেন, ‘‘ঘটনার কথা শুনেছি। আমরা নির্যাতিতার পাশে আছি।’’
ধৃতকে বৃহস্পতিবার বর্ধমান আদালতে তোলা হলে কোনও আইনজীবী তাঁর হয়ে দাঁড়াতে চাননি। ধৃতকে জেল-হেফাজতে পাঠিয়ে ফের ১ এপ্রিল পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy