বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। — ফাইল চিত্র।
কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব র্যাঙ্কিং ফ্রেমওয়ার্ক’ (এনআইআরএফ) প্রকাশিত তালিকায় এ বছর ৮৬তম স্থানে রয়েছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। গত বারের (২০২২) থেকে মূল্যায়নে দু’নম্বর বেশি পেয়ে এ বছর ক্রমতালিকায় এক ধাপ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়। তার পিছনে রয়েছে বিশ্বভারতী (৯৭)। তবে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আগে রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (৪) এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় (১২)।
এনআইআরএফ সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-এ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম একশোর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছিল। সে বছর ৯৬তম স্থানে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়। ২০১৯-এ ৮৯তম স্থানে চলে আসে। ২০২০-এ তিন ধাপ পিছিয়ে যায়। ২০২১-এ ৮৫তম স্থানে উঠে আসে। এ বার মূল্যায়নে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছে ৪৪.১৬ নম্বর।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, স্নাতকোত্তরস্তরের পরীক্ষা, পরিকাঠামোগত বিষয় নিয়ে মূল্যায়নের পরে, মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক বিশ্ববিদ্যালয়গুলি সম্পর্কে নানা তথ্য সংগ্রহ করে। তার পরে, ক্রমতালিকা ঘোষণা করা হয়। স্নাতকোত্তরস্তরের পরীক্ষায় পাশের হারে সব থেকে বেশি নম্বর (যাটের মধ্যে ৫৯.৮৮) পেয়েছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বাইরের মানুষের ধারণা যে খুব একটা ভাল নয়, তা প্রতিফলিত হয়েছে মূল্যায়ণে (২১.২৫ শতাংশ)।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য দায়িত্ব নেওয়া অস্থায়ী উপাচার্য বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘সার্বিক ভাবে মূল্যায়ণ বেশ ভালই হয়েছে। আর কোথায় ভাল করা যায়, তা চিহ্নিত করেছি। সে নিয়ে আলোচনাও শুরু হয়েছে।’’ এ বছর গোটা দেশের ৮৬০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল্যায়ণ করে মানবসম্পদ মন্ত্রক। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সুজিত চৌধুরী বলেন, ‘‘গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে নিজেদের জায়গা ধরে রাখা গিয়েছে। তবে আত্মতুষ্টির জায়গা নেই। এখন থেকেই খামতিগুলি চিহ্নিত করে এগিয়ে যাওয়া হবে।’’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে দাবি, মূলত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যে বিষয়গুলি পড়ানো হয়, তার উপরেই মূল্যায়ণ করে এনআইআরএফ। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন স্নাতকোত্তরের বিভিন্ন বিষয় এবং স্নাতকস্তরের আইনের পড়ুয়ারা। এ ছাড়া, গবেষণার পরিকাঠামো ও গবেষণাপত্র প্রকাশ নিয়ে মূল্যায়ণ করা হয়। মূলত বিভিন্ন পোর্টাল ও ওয়েবসাইট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির তথ্য সংগ্রহ করে এনআইআরএফ। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার শিক্ষক তথা কো-অর্ডিনেটর (এনআইএরএফ) অনিন্দ্য বসুর দাবি, ‘‘গবেষণাপত্রে ‘পেটেন্ট’ পাওয়া, অনলাইন ব্যবস্থাপনা, গবেষণা প্রকাশে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ভাল করেছে। তবে তথ্য সরবরাহ এবং বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বাইরের মানুষের ধারণা আরও ভাল করার উপরে জোর দিতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy