দুঃস্থ গ্রামবাসীর হয়ে আবাস যোজনার বাড়ি চাইতে গিয়ে বিডিওর কাছে হেনস্থার অভিযোগ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যার। —ফাইল চিত্র।
দুঃস্থ গ্রামবাসীর হয়ে আবাস যোজনার বাড়ি চাইতে গিয়ে বিডিওর কাছে হেনস্থা হয়েছেন। এই অভিযোগ নিয়ে মহকুমাশাসক এবং জেলাশাসকের দ্বারস্থ হলেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা। পূর্ব বর্ধমানের গলসির ঘটনা।
গলসি সাটিনন্দী গ্রামের বাসিন্দা পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপির সদস্যা সবিতা পাল। তাঁর অভিযোগ, গত ৯ জানুয়ারি গলসি ২ নম্বর ব্লকের বিডিও অফিসে গিয়েছিলেন। এলাকার ২ দুঃস্থ বাসিন্দাকে আবাস যোজনার বাড়ি পাইয়ে দিতে বিডিওর কাছে নিয়ে যান তিনি। সবিতার অভিযোগ, তিনি আবেদনপত্র নিয়ে বিডিও সঞ্জীব সেনের কাছে গেলে তাঁকে অপমান করা হয়। বিডিও তাঁর আবেদনপত্র না দেখেই নিজের পকেট থেকে টাকা বের করে দেখান। তাঁকে বলেন, ‘মিষ্টি খেয়ে নেবেন’। তখন বিডিও অফিসে অন্যান্য আধিকারিক এবং কর্মী ছিলেন। তাঁদের সামনেই তাঁকে টাকা দেখিয়ে অপমান করা হয়।
সোমবার জেলা শাসক ও বর্ধমান উত্তরের মহকুমা শাসককে গোটা বিষয়টি লিখিত ভাবে জানিয়েছেন ওই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা। এই বিষয়ে বর্ধমান উত্তরের মহকুমাশাসক তীর্থঙ্কর বিশ্বাস বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলে ঠিক কী হয়েছে, সেটা জানা যাবে।’’
এ নিয়ে জেলা তৃণমূল মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ‘‘কোনও মহিলাকে অপমান করা উঠিত নয়। তবে গলসি ২ নম্বর ব্লকে কেন্দ্রীয় সরকারের ভুলে আবাস যোজনার তালিকায় কোনও উপভোক্তার নাম আসেনি। সুতরাং, উনি (পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা) অহেতুক বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা করছেন।’’ যদিও অভিযুক্ত বিডিও সঞ্জীব সেন অভিযোগ অস্বীকার করেন। আনন্দবাজার অনলাইন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করলে বলেন, ‘‘উনি (সবিতা) এসেছিলেন ঠিকই। তবে তাঁর অভিযোগ মিথ্যা। বরং তিনি অনৈতিক ভাবে আবেদন করেছিলেন। ওঁকে সেটাই বুঝিয়ে বলা হয়।’’
তবে এই ঘটনায় সরব হয়েছে বিজেপি। স্থানীয় বিজেপি নেতা খোকন সেন বলেন, ‘‘এক জন মহিলার সঙ্গে বিডিও খারাপ ব্যবহার করেছেন। এর বিহিত চাই।’’ গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, শাসকদলের লোকজন অনৈতিক ভাবে আবাস যোজনায় বাড়ি পাচ্ছেন। কিন্তু ভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কারণে অনেক যোগ্য উপভোক্তা বঞ্চিত হচ্ছেন। এতে প্রশাসনের একাংশের বিরুদ্ধেও আঙুল তুলেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy