কালনার ফেরিঘাট। নিজস্ব চিত্র।
পাঁচ বছর অন্তর ভাগীরথীর কালনা-নৃসিংহপুর ফেরি পরিষেবার ইজারা দেওয়া হয়। গত বার নিলামে সর্বোচ্চ দর উঠেছিল ৫৪ লক্ষ টাকা। কালনা পুরসভা সূত্রে খবর, শনিবার ডাকা ই-নিলামে দর উঠেছে ৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। কালনার উপ-পুরপ্রধান তপন পোড়েল বলেন, ‘‘নদিয়ার এক জন সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন ই-নিলামে। ফেরিঘাট থেকে পাওয়া অর্থ জমা পড়বে পুরসভার নিজস্ব তহবিলে। উন্নয়নের কাজে তা ব্যয় করা হবে।’’
ভাগীরথীর এক পাড়ে রয়েছে কালনা খেয়াঘাট। অন্য পাড়ে নদিয়া জেলার নৃসিংহপুর ঘাট। প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রী ফেরি পরিষেবা ব্যবহার করেন। ভেসেলের মাধ্যমে ভারী যানবাহনও পারাপার করানো হয়। ফেরিঘাটের ইজারা দেয় কালনা পুরসভা। কলকাতা হাই কোর্টে এ নিয়ে মামলা চলায় এ বার ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়েছে। আইনি জটিলতা কাটলে পুরসভা সম্প্রতি সেই প্রক্রিয়া শুরু করে।
পুরসভা সূত্রে খবর, এ বার নিলামের জন্য বার্ষিক ন্যূনতম এক কোটি টাকা দর বেঁধে দেওয়া
হয়েছিল। ই-নিলামে যোগ দেওয়ার জন্য নথিপত্র এবং নির্দিষ্ট অর্থ জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার। নিলামে যোগ দেন কালনা শহর, হুগলি, নৈহাটি, উত্তর ২৪ পরগনা ও নদিয়ার মোট ৮ জন ইজারাদার। নিলাম প্রক্রিয়া যত এগোতে থাকে, ততই বাড়তে থাকে দর। নিলামের শুরুর পরে সর্বোচ্চ দর পৌঁছেছিল ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকায়। তার পরে হঠাৎ দর রকেটের গতিতে বাড়তে থাকে। নদিয়ার কানাইনগরের দীপক সাহা ৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা
(সর্বোচ্চ) দর দেন। সেটিই সর্বোচ্চ বলে বিবেচিত হয়।
কোন ইজারাদার কত দর দিচ্ছেন, তা জানতে কৌতূহলী ছিলেন অনেকে। নিলাম প্রক্রিয়ায় নজর রেখেছিলেন শাসক দলের বেশ কিছু নেতাও। তাঁদের এক জন বলেন, ‘‘ফেরি পরিষেবার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন প্রায় ২৫০ জন। তাঁদের বেশীর ভাগই আবার আমাদের দলের সঙ্গে যুক্ত। ফলে খোঁজখবর রাখতেই হয়।’’ পুরসভার একটি কক্ষে বসে নিলাম প্রক্রিয়ায় নজর রেখেছিলেন পুরপ্রধান আনন্দ দত্ত।
নিলামে সর্বোচ্চ দর ৩ কোটি ছাড়িয়ে যাওয়ায় বিস্মিত অনেকেই। ইজারাদারদের এক জন বলেন, ‘‘যে সংস্থা বরাত পাবে, তাদের ভেসেল, লঞ্চ, সিসি ক্যামেরা কিনতেই প্রয়োজন হবে প্রায় দেড় কোটি টাকা। তার পরে বছরে সাড়ে তিন কোটি টাকা ফেরি পরিষেবা থেকে তোলা মুখের কথা নয়।’’ পুরসভা সূত্রে খবর, বর্তমান ইজারাদারের মেয়াদ শেষ হচ্ছে কাল, সোমবার।
আড়াই বছর আগে কাটোয়ার একটি ফেরিঘাটের নিলামে সর্বোচ্চ দর এক কোটি টাকা ছাড়িয়েছিল। পরে তা বাতিল করা হয়। পরের নিলামে সর্বোচ্চ দর অনেক কমে গিয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy