—নিজস্ব চিত্র।
আড়াই হাজারের বেশি টাকা দিয়ে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করেছিলেন। তবে তা পরীক্ষা করাতে গিয়ে জানা গেল, কার্ডটি ভুয়ো। এমনই অভিযোগ করেছেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার অণ্ডালের এক মহিলা। মঙ্গলবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে অণ্ডাল থানার পুলিশ। পুলিশের দাবি, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরির নামে প্রতারণা চক্রে জড়িত ওই ব্যবসায়ী। ওই মহিলা ছাড়াও একাধিক ব্যক্তিকে প্রতারণা করেছেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, ভুয়ো স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরি করার অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে অণ্ডাল থানা এলাকার উখ়ড়া থেকে দিলীপ বার্নওয়াল নামে ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের কাছে রীতা বার্নওয়াল নামে এক মহিলার অভিযোগ, মোবাইলের দোকানমালিক দিলীপের কাছ থেকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরি করেছিলেন তিনি। সে জন্য দিলীপকে ২ হাজার ৬০০ টাকারও দেন। রীতার দাবি, ‘‘উখড়ার ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে গিয়ে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডটি যাচাই করানোর সময় জানতে পারি তা ভুয়ো কার্ড। যাচাইয়ের সময় আমার স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের নম্বর খুঁজে পাওয়া যায়নি। সে সময় শিবিরে উপস্থিত সরকারি কর্মীরাই জানান যে এটি ভুয়ো কার্ড।’’
রীতার স্বামী প্রদীপ বার্নওয়াল জানিয়েছেন, কার্ডটি হাতে পাওয়ার পর থেকেই তাঁদের সন্দেহ হয়েছিল। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের কারও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ছিল না। দিলীপবাবু স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরি করেন বলে খবর পেয়ে তাঁর থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা দিয়ে কার্ড করানো হয়েছিল। তবে কার্ডটি হাতে পাওয়ার পর সন্দেহ হয়। অণ্ডালের বিডিওর কাছে সেটি নিয়ে গেলে জানতে পারি যে কার্ডটি ভুয়ো।’’ এর পরেই পুলিশের দ্বারস্থ হয় ওই পরিবার।
মুনাফালোভী কয়েক জন অসাধু ব্যক্তি সরকারির প্রকল্পের নামে ফায়দা তুলছেন বলে দাবি করেছেন জেলা মহিলা তৃণমূলের সভাপতি মিনতি হাজরা। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যবাসীর সুবিধার্থে এ প্রকল্পটি চালু করেছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মুনাফার লোভে অসাধু ব্যক্তিরা ভুয়ো কার্ড বানিয়ে মানুষকে প্রতারিত করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy