বর্জ্য ব্যবস্থাপনের এমনই হাল নানা পঞ্চায়েত এলাকায়। দুর্গাপুর-ফরিদপুরে। নিজস্ব চিত্র
বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের বিষয়ে জেলার দুই পুরসভা এলাকায় কিছু পরিকল্পনা, ভাবনাচিন্তার কথা শোনা যায় প্রায়ই। কিন্তু বর্জ্য ব্যবস্থাপনের বিষয়ে পিছিয়ে জেলার আটটি ব্লক, পঞ্চায়েত এলাকাগুলি, এমনই পর্যবেক্ষণ জেলা প্রশাসনের।
সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফে জেলাগুলির কাছে পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক খুরসিদ আলি কাদরি। তিনিই জানান, অনেক ব্লকের বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র থাকলেও সেগুলি ঠিক মতো কাজ করছে না। স্থানীয় সূত্রেও জানা যায়, সালানপুর ব্লকের রূপনারায়ণপুর, জিতপুর-উত্তররামপুর ও আল্লাডি-রামচন্দ্রপুর-সহ কয়েকটি পঞ্চায়েতে এমন কেন্দ্র থাকলেও তা চালু করা যায়নি। এমনকি, প্রশাসন সূত্রের দাবি, ওই কেন্দ্রগুলির বর্তমানে কী অবস্থা, তা নিয়ে অন্ধকারে আধিকারিকেরা। এলাকাবাসী জানান, এই পরিস্থিতিতে যত্রতত্র আবর্জনার স্তূপ জমছে। দুর্ভোগ বাড়ছে নাগরিকদের।
এই অবস্থায় পঞ্চায়েত এলাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনে পদক্ষেপ করার লক্ষ্যে বৈঠক করেন অতিরিক্ত জেলাশাসক খুরসিদ। সেখানে যোগ দেন আসানসোল ও দুর্গাপুরের মহকুমাশাসকেরাও। বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের বিষয়ে ব্লক আধিকারিকদের কাছ থেকে রিপোর্ট চান অতিরিক্ত জেলাশাসক। প্রশাসন সূত্রে খবর, রিপোর্ট হাতে আসার পরেই পদক্ষেপ করা হবে।
তবে ইতিমধ্যেই কিছু বিষয়ে পদক্ষেপ করার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলাশাসক বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত এলাকার বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রগুলির বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরির পরামর্শ দিয়েছি। জেলা পরিষদের সচিবের নেতৃত্বে সেগুলি চালুর ব্যবস্থা হচ্ছে।’’ তা ছাড়া, জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে স্কুল পড়ুয়াদের সঙ্গে নিয়ে এলাকায় প্রচার অভিযান চালানো হবে। পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে প্লাস্টিক বর্জনের প্রচার উপলক্ষে ‘রূপরেখা’ তৈরির কথাও জানানো হয়েছে। কেন এই পরিকল্পনা? প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘আসানসোল ও দুর্গাপুরের পুরসভা এলাকার পাশের গ্রামগুলিতে পলিব্যাগ নিষিদ্ধ করা না গেলে গ্রাম থেকে শহরেও ঢুকবে প্লাস্টিক।’’
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, আসানসোল পুরসভা এলাকায় বাকি পড়ে থাকা শৌচালয়গুলি আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক। আসানসোল পুরসভা সূত্রে জানা যায়, ১০৬টি ওয়ার্ডে প্রায় ৪৭ হাজার শৌচালয় তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছিল। সেগুলির অধিকাংশই হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে জমি-বিবাদ ও জায়গার অভাবে শৌচাগার তৈরি হয়নি। প্রশাসন সূত্রের দাবি, এমন পরিস্থিতিতে প্রয়োজনে গণ শৌচাগার তৈরির পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy