ফাইল চিত্র
হাসপাতালের নানা কাজে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠল কাটোয়ায়। প্রায় চার কোটি টাকা নিয়ম বর্হিভূত ভাবে খরচ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। বিভিন্ন কাজ মিলিয়ে এই টাকা বকেয়া বলে ঠিকাদারেরা দাবি করেছেন। সম্প্রতি রোগীকল্যাণ সমিতির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, পাওনা দাবি করা ঠিকাদারদের ওই বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। তাঁদের কাছে প্রয়োজনীয় নথিপত্র চাওয়া হয়েছে। মহকুমাশাসক (কাটোয়া) তথা রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান প্রশান্তরাজ শুক্ল বলেন, ‘‘হাসপাতালের কিছু কাজ নিয়ম বর্হিভূত ভাবে হয়েছে বলে অনুমান। এ নিয়ে আমরা বৈঠক করেছি। নিয়ম মেনে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’
কাটোয়া মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দু’য়েক ধরে হাসপাতালের নানা কাজে অনিয়মের অভিযোগ উঠছিল। কিন্তু হাসপাতালের তৎকালীন এক শীর্ষ কর্তা তা গুরুত্ব দিতেন না বলে অভিযোগ। এ নিয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মী ও ঠিকাদারদের একাংশের ক্ষোভ তৈরি হচ্ছিল। তাঁদের অভিযোগ, ওষুধ কেনা, খাবার সরবরাহ, সিসি ক্যামেরা বসানো, বিদ্যুতের কাজ, সৌন্দর্যায়ন-সহ নানা কাজের বিলের পরিমাণ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অভিযোগ, গত দু’বছরে প্রায় দু’কোটি টাকার ওষুধের বিল বাকি রয়েছে। বিভিন্ন কর্মসূচিতে খাবার সরবরাহ বাবদ ৪০ লক্ষ টাকা, সিসি ক্যামেরা বসানো বাবদ ২০ লক্ষ টাকা পাওনা বলে ঠিকাদারেরা হাসপাতালে বিল জমা দিয়েছেন। বিনা টেন্ডারেই লক্ষ-লক্ষ টাকার কাজ হয়েছে বলে অভিযোগ। সব মিলিয়ে প্রায় চার কোটি টাকা বিল বাকি থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিন্তায় পড়েছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘সন্দেহজনক’ বিল নিয়ে রোগীকল্যাণ সমিতি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের কাছে তাঁদের বক্তব্য শোনার জন্য গত শুক্রবার হাসপাতালে বৈঠক ডাকে। সেখানে ছিলেন রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা মহকুমাশাসক (কাটোয়া) প্রশান্তরাজ শুক্ল, হাসপাতালের সুপার নবারুণ গুপ্ত। সমিতির সদস্য তথা কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন প্রাক্তন কাউন্সিলর সুদীপ্তময় ঘোষ। ঠিকাদারদের কাছে বিল নিয়ে বক্তব্য শোনা হয় ও উপযুক্ত নথিপত্র চাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রের দাবি, কয়েকজন ঠিকাদার বিলের পক্ষে উপযুক্ত নথি দেখাতে না পারায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন আধিকারিকেরা।
বিধায়ক রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, ‘‘হাসপাতালের নানা কাজের জন্য প্রায় চার কোটি টাকা পাওনা বলে ঠিকাদারেরা দাবি করছেন। বিষয়টি আমাদের সন্দেহজনক মনে হওয়ায় বৈঠকে ঠিকাদারদের কথা শোনা হয়েছে। আমরা চাই, সরকারি কোষাগারের টাকা নিয়ম মেনেই খরচ করা হোক।’’ হাসপাতালের সুপার নবারুণ গুপ্তের বক্তব্য, ‘‘নানা কাজের জন্য মোটা টাকা দাবি করেছেন ঠিকাদারেরা। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও তা জানানো হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy