এই ধরনের নির্মাণগুলি নিয়েই বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র।
জমি দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের (ডিএসপি) নামে। অথচ, সেই জমি দখল করেই দোকান তৈরি করা হচ্ছে। দুর্গাপুর পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সিটি সেন্টারের কবিগুরু এলাকায় এমন ঘটনা দেখা যাচ্ছে। এই মর্মে সংবাদমাধ্যমের একাংশের কাছে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসীর একাংশ। তাঁদের আরও অভিযোগ, এর নেপথ্যে, তৃণমূলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের একাংশের প্রশ্রয়ও রয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মূল রাস্তার ধারে পরপর অবৈধ ভাবে স্টল তৈরির প্রক্রিয়া বেশ কিছু দিন আগেই শুরু হয়েছে। এই নির্মাণ করতে গিয়ে বিশেষ পদ্ধতিও অবলম্বন করা হয়েছে। এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, মূল রাস্তার ধারে যে জমি নিয়ে বিতর্ক, তা একসময়ে ফাঁকা ছিল। প্রাথমিক ভাবে রাস্তার একেবারে গায়ে গুমটি ও অস্থায়ী দোকান তৈরি করা হয়। এর ফলে, সেগুলির পিছনের জমিতে কী কাজ হচ্ছে, তা রাস্তা থেকে বোঝা যেত না। এই ‘সুযোগে’ ত্রিপল টাঙিয়ে, রাতের অন্ধকারে শুরু হয় নির্মাণকাজ। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, এই মুহূর্তে নির্মাণের ভিতও তৈরি হয়ে গিয়েছে।
কিন্তু কী ভাবে ‘চলছে’ এই কাজ? স্থানীয় বাসিন্দা সুবোধ চট্টরাজ, উত্তম মণ্ডল, জয়ন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়দের অভিযোগ, ‘‘এলাকার কয়েকজন তৃণমূল নেতা, কর্মীর মদতেই এই বেআইনি কাজ চলছে।’’ সরব হয়েছে ‘দুর্গাপুর টাউন নাগরিক ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’-ও। সংগঠনের সভাপতি পীযূষ মজুমদার বলেন, ‘‘অবৈধ নির্মাণের ফলে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্ট হতে পারে। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে। সরকারি রাজস্বেরও ক্ষতি হবে। দ্রুত এর প্রতিকারকরুক প্রশাসন।’’
যদিও, তাঁদের দিকে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের অন্যতম জেলা সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়। তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমাদের কেউ কোনও অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত নন। তবুও বিষয়টি নিয়ে খোঁজ নেব।’’ বিষয়টি নিয়ে ডিএসপির সংশ্লিষ্ট আধিকারিকেরা জানান, শহর জুড়েই তাদের জমিতে অবৈধ নির্মাণ রুখতে অভিযান চালানো হচ্ছে। এ ক্ষেত্রেও বিষয়টি নজরে রাখা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy