সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় পরীক্ষা নির্বিঘ্ন করতে সব রকম প্রস্তুতি সারা হয়েছে, জানাল জেলা প্রশাসন। এ বার জেলার মোট পরিক্ষার্থী প্রায় ৩৩ হাজার। ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা বেশি। জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে পরীক্ষার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে পৌঁছতে পারেন, সে জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ বারই প্রথম প্রত্যেক পরীক্ষাকেন্দ্রের প্রশাসনিক দেখভালের জন্য জেলাশাসকের এক জন করে প্রতিনিধি থাকবেন।
পশ্চিম বর্ধমান শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় এ বার ২৬টি মূল পরীক্ষাকেন্দ্র রাখা হয়েছে। আসানসোল ও দুর্গাপুর, দুই মহকুমায় ১৩টি করে এমন কেন্দ্র রয়েছে। এ ছাড়া ৭৫টি সাধারণ পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে দুর্গাপুরে রয়েছে ২৮টি ও আসানসোলে হয়েছে ৪৭টি কেন্দ্র। জেলায় মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এ বার ৩৩,১৭০ জন। তার মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ১৪,৯৬৪ এবং ছাত্রী ১৮,২০৬ জন।
অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রশান্ত মণ্ডল জানান, পরীক্ষার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে পৌঁছতে পারেন সে দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘এ বারই প্রথম প্রত্যেক পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা দেখভালের জন্য জেলাশাসকের তরফে এক জন করে পরিদর্শক থাকবেন।’’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পরীক্ষার দিনগুলিতে প্রতিটি রাস্তা যানজটমুক্ত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। পরীক্ষার্থীদের জন্য যাত্রিবাহী যানবাহনকে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জরুরি তৎপরতায় পরীক্ষার্থীদের যানবাহনগুলিকে যাতায়াতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রের আশপাশে উচ্চস্বরে লাউডস্পিকার বাজানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফটোকপি করার দোকান খোলা রাখতে নিষেধ করা হয়েছে। এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষা পরিচালন কমিটির জেলা আহ্বায়ক দিব্যেন্দু সাহা জানান, প্রত্যেক স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের নিজেদের স্কুলগুলির পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কোনও রকম সমস্যা দেখা দিলে সঙ্গে-সঙ্গে জেলা শিক্ষা দফতরকে জানাতে বলা হয়েছে।
জেলা স্কুল পরিদর্শক অজয় পাল জানান, সরকারের নির্দেশে পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে নিরাপদে ও সময়ে প্রশ্নপত্র পৌঁছে দিতে এ বার বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy