মৃত প্রতিমা মণ্ডল। — নিজস্ব ছবি।
বন্ধ ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হল এক বধূর দেহ। তাঁর গলার নলি কাটা ছিল। রক্তে ভেসে যাচ্ছে ঘরের মেঝে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের মেদিনীপুরের মেমারিতে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই বধূকে কোনও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত মহিলার নাম প্রতিমা চক্রবর্তী (৩৮)। তিনি মেমারির সুলতানপুরের বাসিন্দা। স্বামী হৃদয় চক্রবর্তী রাঁধুনির কাজ করেন। সেই সূত্রে বাইরেই থাকেন। বাড়িতে একাই থাকতেন নিঃসন্তান প্রতিমা। মৃতার পরিবারে দাবি, শনিবার রাত ৮টা নাগাদ মেমারির চকদিঘিমোড় এলাকায় বোনের দোকানে যান প্রতিমা। তার পর বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। রাত ১০টা নাগাদ তাঁর বোন বাড়ি ফিরে দেখেন দরজা বন্ধ। ডাকাডাকি শুরু করেন। সাড়া না পেয়ে দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকে দেখেন প্রতিমা ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন।
দিদিকে ওই অবস্থায় দেখে চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডাকেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। তারা এসে ঘটনাস্থল থেকে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় হাসপাতালে। সেখানেই ময়নাতদন্ত হবে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তাদের প্রাথমিক অনুমান, কোনও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে প্রতিমাকে। তবে কে বা কারা এই খুনের ঘটনা ঘটাল, তা এখনও অজানা।
প্রতিবেশী এবং প্রতিমার পরিবারের লোকেদের সঙ্গেও কথা বলছে পুলিশ। খবর দেওয়া হয়েছে তাঁর স্বামীকে। কী উদ্দেশ্যে প্রতিমাকে খুন করা হল, তা-ও খতিয়ে দেখছে মেমারি থানার পুলিশ। মৃতার বোন বুলবুল মজুমদার বলেন, ‘‘দোকান বন্ধ করে দিদির বাড়িতে ঢুকে দেখি, দিদি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। জামাইবাবু রান্নার কাজ করেন। তাই প্রায়ই বাইরে বাইরেই থাকেন। শনিবার সকালে রান্নার কাজে দিঘা গিয়েছেন।’’ প্রতিমার সঙ্গে কি কারও ঝামেলা ছিল? যদিও প্রতিমার আর এক বোন সজনী চৌধুরী তা মানতে নারাজ। তাঁর কথায়, ‘‘দিদি অত্যন্ত ভাল মানুষ ছিল। ওর সঙ্গে কারও কখনও ঝামেলা হত না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy