এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
এক বৃদ্ধার গলাকাটা দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল ব্যারাকপুরে। পরিবারের অনুমান, ঘুমের মধ্যে কেউ বা কারা ওই বৃদ্ধার গলা কেটে খুন করেছেন। কিন্তু কেন তাঁকে খুন করা হল, সে বিষয়ে কোনও ধারণা নেই পরিবারের কারও কাছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জেটিয়া থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বৃদ্ধার নাম ফুলজান বিবি (৭৫)। থাকতেন ব্যারাকপুরের জেটিয়া থানার অন্তর্গত কাঁচরাপাড়া পাল্লাদহ গ্রামে। কন্যা-জামাই এবং তাঁদের পরিবারের সঙ্গেই থাকতেন তিনি। পরিবারের দাবি, ফুলজানের সঙ্গে কারও কোনও শত্রুতা ছিল না। শুক্রবার বেলা বাড়লেও ঘুম থেকে না ওঠায় সন্দেহ হয় তাঁর ছোট কন্যা রচিয়া বিবির। পরে দরজা খুলে ঘরে ঢুকে মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানার উপর পড়ে থাকতে দেখেন তিনি।
খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পৌঁছয় জেটিয়া থানার পুলিশ। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এমন কাণ্ড ঘটাতে পারেন, তা নিয়ে প্রতিবেশীরা কেউ কিছুই বলতে পারছেন না। পুলিশ দেহ উদ্ধার কের ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই বৃদ্ধাকে খুন করা হয়েছে। ধারালো কোনও অস্ত্র দিয়ে তাঁর গলা কাটা হয়েছে। গলা কাটা ছাড়া শরীরে আর কোনও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে কি না, তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই স্পষ্ট হবে বলে জানান তদন্তকারীরা। খুনের নেপথ্যে কী কারণ থাকতে পারে, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।
মৃতার বড় কন্যা মসকুরা বিবি বলেন, ‘‘আমার মায়ের কোনও শত্রু ছিল না। যারা এমন কাজ করেছে, তারা শাস্তি পাক। অন্তত ধরা পড়ুক। সকলের সামনে আসুক। সন্দেহ কারও উপর নেই।’’ ফুলজান বিবি থাকতেন ছোট কন্যা রচিয়াদের সঙ্গে। তাঁর কথায়, ‘‘আজ রেশন কার্ডের ব্যাপারে মাকে নিয়ে বিডিও অফিসে যাওয়ার কথা ছিল। মা প্রতি দিন সাধারণত সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যেই ঘুম থেকে উঠে যান। কিন্তু আজ ওঠেননি। দরজা বন্ধ ছিল। ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি তাঁর। পরে দরজা খুলে ভিতরে গিয়ে দেখি মা বিছানায় এক দিকে হেলে শুয়ে আছে। প্রথমে বুঝতে পারিনি কী ঘটেছে। গায়ে হাত দিয়ে দেখি মায়ের গা ঠান্ডা। তখনই প্রতিবেশীদের ডাকি। সকলে এসে দেখেন মায়ের গলা কাটা।’’ দোষীদের অবিলম্বে খুঁজে বার করে শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন প্রতিবেশীরাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy