দু’হাতের মাঝে পেঁচার ছানা। নিজস্ব চিত্র
বাসা খুঁজে পেল আহত পেঁচা। দিনের বেলায় আহত হয়ে মাটিতে পড়ে গিয়েছিল পেঁচাটি। তাকে বাসায় ফেরানো বেশ মুশকিলের ছিল। তবে কাঞ্চননগর ডি এন দাস উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং পশুপ্রেমী সংগঠনের কয়েকজন মিলে সেই কাজটাই করেছেন।
ওই স্কুল চত্বরে একটি বিশাল বটগাছ রয়েছে। অসংখ্য পাখির আশ্রয় সেটি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুভাষচন্দ্র দত্ত আলাদা ভাবে এই গাছে কৃত্তিম ভাবে ৪০টি পাখির বাসাও ঝুলিয়েছেন। যাতে পাখিরা খাবার সংরক্ষণ ও প্রজননে স্বাচ্ছন্দ্য পায়। অনেক পেঁচাও থাকে সেখানে। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ভোরে একটি পেঁচাশাবক উঁচু বাসা থেকে মাটিতে পড়ে যায়। সকালে বিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিভাগের এক শিক্ষিকার চোখে পড়লে তিনি শিশু পেঁচাটিকে শুশ্রূষা করে গ্রন্থাগারে রাখেন। পরে প্রধান শিক্ষক সুভাষ দত্ত এসে একটি পশুপ্রেমী সংস্থাকে খবর দেন। তাঁদের তরফে অর্ণব দাস ও সঞ্জয় রায় এসে পাখিটিকে তার বাসায় ফেরান।
প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘চিকিৎসার পরে পেঁচাটি সুস্থ হয়ে যায়। আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল, ওকে বাসায় মায়ের কোলে ফেরানো। কিন্তু চিন্তা হচ্ছিল এতগুলো বাসার মধ্যে ওর বাসা খুঁজে পাব কী ভাবে। কিন্তু কাজ করে মাতৃত্ব। শিশু পেঁচাটিকে গাছের কাছে আনতেই মা পেঁচা এবং আরও একটি শিশুপেঁচা চিৎকার চেঁচামেচি জুড়ে দেয়। উঁকিঝুঁকি মারতে থাকে। আমরাও বাসাটিকে চিহ্নিত করতে পারি।’’ অর্ণব জানান, উঁচু মই এনে গাছে উঠে পেঁচাটিকে পুনর্বাসন দেওয়া হয়। শিক্ষক অনুপ দত্ত, বিদ্যালয়কর্মী রাধেশ চন্দ্র ও বিশ্বজ্যিৎ কুণ্ডুও সাহায্য করেন।
প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘একাধিক প্রজাতির পেঁচা বিদ্যালয় পরিবেশে সুস্থ ভাবে জীবন কাটাচ্ছে। এখানে খাদ্যেরও অভাব নেই। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে এটা জরুরি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy