প্রতীকী ছবি।
স্কুল শিক্ষা দফতর ও কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ সত্ত্বেও প্রধান শিক্ষককে কাজে যোগ দিতে না দেওয়ায় স্কুলের পরিচালন কমিটিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দিল আদালত। সোমবার এই নির্দেশ দেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। জরিমানার টাকা ওই প্রধান শিক্ষকের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
পশ্চিম বর্ধমানের চিত্তরঞ্জন কস্তুরবা গাঁধী হাইস্কুলের ওই প্রধান শিক্ষক লড্ডন খানের আইনজীবী আশিসকুমার চৌধুরী জানান, ঘটনার সূত্রপাত ২০১৬ সালের ২০ সেপ্টেম্বর। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তোলে পরিচালন কমিটি। কমিটির অভিযোগ, তিনি স্কুলের অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন। শুধু তাই নয়, স্কুলের কয়েকজন ছাত্রী থানায় যৌন হেনস্থার অভিযোগও করেন। এ সবের জেরে ২০১৭ সালে প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ড করা হয়।
আশিসবাবু জানান, স্কুল পরিদর্শক ও স্কুল শিক্ষা দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে প্রধান শিক্ষক অভিযোগ জানান, স্কুলের শিক্ষকদের একাংশ শিক্ষাগত যোগ্যতার নথি হিসাবে জাল শংসাপত্র দাখিল করেছেন, তিনি তা জানতে পেরেছেন। সে কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। ছাত্রীদের যৌন হেনস্থার ঘটনা অভিভাবকেরা কেন জানলেন না, সে প্রশ্নও তোলেন প্রধান শিক্ষক। পরিচালন কমিটির সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে স্কুল শিক্ষা দফতরের ডিরেক্টরের কাছে সাসপেনশন প্রত্যাহারের আবেদন করেন তিনি।
আইনজীবী আশিসবাবু জানান, ২০১৮ সালে ডিরেক্টর সাসপেনশন প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। কিন্তু তার পরেও প্রধান শিক্ষককে কাজে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ডিরেক্টরের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেন স্কুল পরিচালন কর্তৃপক্ষ। গত ৩০ জানুয়ারি বিচারপতি শেখর ববি শরাফ অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেন, স্কুল শিক্ষা দফতরের ডিরেক্টর যখন সাসপেনশন প্রত্যাহার করতে বলেছেন, তখন তা প্রত্যাহার করতে হবে এবং প্রধান শিক্ষক কাজে যোগ দেবেন। অভিযোগ, তার পরেও তিনি কাজে যোগ দিতে পারেননি।
এ দিন ফের মামলার শুনানি হয়। প্রধান শিক্ষকের আইনজীবী আদালতে জানান, এখনও তাঁর মক্কেলকে কাজে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি। পরিচালন কমিটির আইনজীবী আদালতের কাছে সময় চান। বিচারপতি মান্থা জানান, প্রধান শিক্ষককে হেনস্থার জন্য ২০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে পরিচালন কমিটিকে। ৮ জানুয়ারি মামলার পরবর্তী শুননি হবে বলে জানানো হয়েছে।
স্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতি অমরেন্দ্র মুখোপাধ্যায় সোমবার বিকেলে বলেন, ‘‘আদালত কী নির্দেশ দিয়েছে জানি না। তা হাতে পাওয়ার পরে পদক্ষেপ করা হবে।’’
(সহ-প্রতিবেদন: সুশান্ত বণিক)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy