—প্রতীকী চিত্র।
দেশকে যক্ষ্মামুক্ত করার অভিযানে শামিল হল রূপনারায়ণপুরের একটি বেসরকারি স্কুল। সালানপুর ব্লকের ১৫ জন দুঃস্থ যক্ষারোগীকে পুষ্টিকর আহার সরবরাহের দায়িত্ব নিয়েছেন ওই স্কুলের কর্তৃপক্ষ। বুধবার সালানপুরে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের একটি অনুষ্ঠানে স্কুল কর্তৃপক্ষ এই ঘোষণা করেন। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (পশ্চিম বর্ধমান) মহম্মদ ইউনুস জানান, তিনিও আসানসোলের পাঁচ দুঃস্থ যক্ষ্মারোগীকে পুষ্টিকর আহার দেবেন। জেলা টিউবারকিউলেসিস অফিসার শুভাশিস রায় জানিয়েছেন, পশ্চিম বর্ধমানে এই মুহূর্তে প্রায় তিন হাজার যক্ষ্মারোগী আছেন। তাঁদের নিয়মিত ওষুধ খাওয়ানো হয়।
এ দিন সালানপুর ব্লক পিঠাইকেয়ারি হাসপাতালে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে রূপনারায়ণপুরের ডিএভি স্কুলের অধ্যক্ষ সঞ্জয় মজুমদার ব্লকের ১৫ জন যক্ষ্মারোগীর হাতে প্রথম মাসের খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান, ২০২৫-র মধ্যে দেশ থেকে যক্ষ্মা সম্পূর্ণ ভাবে নির্মূল করার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা গ্রামে, শহরে বাড়ি বাড়ি ঘুরে যক্ষ্মারোগী চিহ্নিত করে তাঁদের ওষুধ দিচ্ছেন। প্রত্যেক রোগীকে টানা ছ’মাস এই ওযুধ খেতে হয়। সঙ্গে ছ’মাস পুষ্টিকর আহারও খেতে হয়। তা না হলে যক্ষ্মা নিরাময়ের ওষুধ ঠিক মতো কাজ করে না। অনেক দুঃস্থ যক্ষ্মারোগী পুষ্টিকর আহার জোগাড় করতে পারেন না। ফলে যক্ষ্মা নির্মূলীকরণ কর্মসূচি প্রশ্নের মুখে পড়ে।
সিএমওএইচ জানিয়েছেন, এই সমস্যা দূর করতে ‘নিক্ষয় মিত্র’ নামে একটি সেবামূলক প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সরকার ঘোষণা করেছে, কোনও প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি দুঃস্থ যক্ষারোগীকে পুষ্টিকর আহার দিলে সরকার তাদের বিশেষ সম্মান জানাবে। সম্প্রতি আসানসোলে এ নিয়ে আলোচনাসভা হয়। সেখানে উপস্থিত সকলের কাছে দুঃস্থ যক্ষ্মারোগীদের পুষ্টিকর আহার জোগান দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। সেই আবেদনে সাড়া দেন রূপনারায়ণপুরের ডিএভি স্কুল কর্তৃপক্ষ।
স্কুলের অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘যক্ষ্মা দূর করার সরকারি অভিযানকে শক্তিশালী করা এবং ছোটবেলা থেকে পড়ুয়াদের মানব সেবার কাজে উৎসাহ দিতে যক্ষ্মারোগীদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়ার দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে।’’ তিনি জানান, স্কুলে একটি দানপাত্র রাখা হয়েছে। সেটিতে পড়ুয়া, স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীরা নিজেদের সাধ্যমতো অর্থ দান করছেন। সেই টাকা দিয়েই যক্ষ্মারোগীদের জন্য পুষ্টিকর খাদ্যসামগ্রী কেনা হবে। এ দিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন জেলা পরিষদের স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ আরমান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy