Advertisement
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

তৃণমূল নেতাকে ‘মারধরে’ ধৃত

বুধবার রাতে বাঁশকোপার একটি বেসরকারি সিমেন্ট কারখানা থেকে বৈঠক সেরে বাড়ি ফিরছিলেন কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য চিন্ময়বাবু। অভিযোগ, বাঁশকোপা এলাকায় তাঁকে আটকায় প্রায় শ’দেড়েক বিজেপি কর্মী-সমর্থক।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাঁকসা শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৯ ০০:০১
Share: Save:

পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সদস্য চিন্ময় মণ্ডলের উপরে হামলার অভিযোগে পুলিশ এক জনকে গ্রেফতার করেছে। বুধবার রাতে কাঁকসার বাঁশকোপা গ্রাম থেকে এক বিজেপি সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়। বিজেপির অভিযোগ, বাঁশকোপা গ্রামে সে রাতে তাদের কর্মীদের বাড়িতে হামলা ও মারধর করা হয়। তাতে চার কর্মী জখম হয়েছেন।

বুধবার রাতে বাঁশকোপার একটি বেসরকারি সিমেন্ট কারখানা থেকে বৈঠক সেরে বাড়ি ফিরছিলেন কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য চিন্ময়বাবু। অভিযোগ, বাঁশকোপা এলাকায় তাঁকে আটকায় প্রায় শ’দেড়েক বিজেপি কর্মী-সমর্থক। চিন্ময়বাবুকে মারধর করে তারা নিজেদের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। সেখানেও তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে এলাকার দলের কর্মীরা ও পুলিশ পৌঁছলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায় বলে দাবি তৃণমূলের। চিন্ময়বাবুকে পানাগড় ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সেখান থেকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

এই ঘটনার পরেই তৃণমূলের লোকজন বাঁশকোপা গ্রামে তাদের কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির। চিন্ময়বাবুকে মারধরের অভিযোগে পুলিশ সে রাতেই বাঁশকোপা গ্রাম থেকে সঞ্জয় গোপ নামে এক বিজেপি সমর্থককে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার আদালতে তোলার সময়ে ধৃত দাবি করেন, চিন্ময়বাবুরা শ্রমিকদের স্বার্থ না দেখে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি করে ‘কাটমানি’ খাওয়ার চেষ্টা করছেন। সে সব নিয়ে ওই রাতে তাঁর সঙ্গে শ্রমিকদের বাদানুবাদ হয়। কিন্তু তাঁকে কেউ মারধর করেনি। সঞ্জয়বাবুর অভিযোগ, ‘‘আমাদের ফাঁসানো হচ্ছে।’’ এ দিন ধৃতকে ৭ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি বৃহস্পতিবার চিন্ময়বাবুর বাড়িতে এসে দেখা করেন। তিনি বলেন, ‘‘রক্তের রাজনীতি বন্ধ করে বিজেপি আসানসোল ও দুর্গাপুরের উন্নয়নে নজর দিক। তা না হলে তাঁরাও এক দিন জনরোষের শিকার হবেন।’’ তৃণমূলের কাঁকসা ব্লকের নেতা দেবদাস বক্সীর অভিযোগ, ‘‘রাতের অন্ধকারে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশের কাছে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছি।’’

বিজেপি নেতা রমন শর্মার অবশ্য পাল্টা দাবি, ‘‘কারখানা থেকে হয়তো কাটমানি নিয়েই ফিরছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। শ্রমিকেরা তারই প্রতিবাদ করেছেন। বিজেপি কর্মীদের ফাঁসানোর জন্য পুলিশের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Crime West Bengal Police TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy