Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

ফের ছেলেধরা সন্দেহে মার, বাধা উদ্ধারেও

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুর স্টেশন এলাকার লিলুয়াবাঁধে সন্ন্যাসীর পোশাক-আশাক পরা এক ব্যক্তিকে দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। সন্দেহ হওয়ায় তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁরা।

দুর্গাপুরের লিলুয়াবাঁধে গোলমাল। নিজস্ব চিত্র

দুর্গাপুরের লিলুয়াবাঁধে গোলমাল। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:৩৫
Share: Save:

ছেলেধরা সন্দেহে আবারও মারধরের ঘটনা ঘটল দুর্গাপুরের কোকআভেন থানা এলাকায়। মঙ্গলবার রাতে ফের ছেলেধরা সন্দেহে এক ব্যক্তিকে মারধর করা হয়। তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময়ে লিলুয়াবাঁধ এলাকায় কিছু বাসিন্দার হাতে সিভিক ভলান্টিয়ারেরা আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। পুলিশের বড় বাহিনী গিয়ে লাঠি উঁচিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুর স্টেশন এলাকার লিলুয়াবাঁধে সন্ন্যাসীর পোশাক-আশাক পরা এক ব্যক্তিকে দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। সন্দেহ হওয়ায় তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁরা। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। তিনি অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছেন দাবি করে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে। কয়েকজন সিভিক ভলান্টিয়ার তাঁকে হেঁটে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময়ে স্টেশন বাজার লাগোয়া লিলুয়াবাঁধ বস্তি এলাকায় কয়েকজন তাঁকে ফের মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ। বাধা দিতে গেলে মারধর করা হয় সিভিক ভলান্টিয়ারদের। এক পুলিশকর্মীও প্রহৃত হন বলে অভিযোগ। থানা থেকে পুলিশের বড় বাহিনী গিয়ে লাঠি উঁচিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকাবাসীর কয়েক জনের অভিযোগ, পুলিশ লাঠি চালিয়েছে। যদিও পুলিশ তা মানেনি। ঘটনাস্থল থেকেই কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের মধ্যে ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ জানায়, আহতকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, তাঁর নাম যোগেশ্বর পটেল। তিনি পঞ্জাবের বাসিন্দা। কেন তিনি এই এলাকায় এসেছিলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ কমিশনার দেবেন্দ্রপ্রকাশ সিংহ জানান, সন্দেহের বশে আইন নিজেদের হাতে তুলে কেউ যদি গণপিটুনির সঙ্গে যুক্ত থাকেন, পুলিশ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। অচেনা বা সন্দেহভাজন কাউকে দেখলে সঙ্গে-সঙ্গে পুলিশকে খবর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। কমিশনার বলেন, ‘‘শহর তো বটেই, প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকাতেও নিয়মিত সচেতনতা প্রচার চালানো হচ্ছে। গত কয়েক দিনে ছেলেধরা সন্দেহে মারধরের ঘটনা কমেছে। সব ক’টি ঘটনার ভিডিয়ো ফুটেজ খতিয়ে দেখে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Violence Beating
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy