সুমিত্রা দাস সকালে ছেলেকে প্রাইভেট টিউশন পড়াতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কুকুরটি তাঁর ছেলের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তার কপালের মাংস খুবলে নেয়। নিজস্ব চিত্র।
কুকুরের কামড়ে এক দিনে একই গ্রামে জখম হলেন ৩০ জন। শেষে ‘পাগল’ ওই কুকুরটিকে মেরেই ফেলে উন্মত্ত জনতা। যদিও তত ক্ষণে কারও কপাল, কারও হাত-পায়ের মাংস খুবলে গিয়েছে। প্রায় প্রত্যেককেই চিকিৎসার জন্য যেতে হয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। তিন জনের আঘাত এতটাই গুরুতর যে তাঁদের নিয়ে যেতে হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে।
পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের পুটশুড়ি গ্রাম। বুধবার সকাল থেকে একটি কুকুরকে নিয়ে গ্রামে এমন আতঙ্ক ছড়ায় যে এক সময় ঘরে শিকল তুলে দিতে বাধ্য হন গ্রামবাসীরা। রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যায়। পুটশুড়ি গ্রামের বাসিন্দা সাজিনা মল্লিক বলেন, ‘‘বাজার এলাকায় ঘোরাঘুরি করত কুকুরটি। বুধবার সকালে এলাকার রাস্তা দিয়ে যাঁরাই গিয়েছেন তাঁদের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে কামড়ে দিয়েছে কুকুরটি। কারও কপাল তো আবার কারও হাত-পা-সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কামড়ে মাংস খুবলে নিয়েছে। আমার মেয়েও মারাত্মক জখম হয়েছে ওই কুকুরের কামড়ে।’’
ওই এলাকারই বাসিন্দা সুমিত্রা দাস জানিয়েছেন, সকালে তিনি ছেলেকে প্রাইভেট টিউশন পড়াতে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন কুকুরটি তাঁর ছেলের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাঁর ছেলের কপালের মাংস কুকুরটি কামড়ে খুবলে নেয়।
মন্তেশ্বরের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক তন্ময় মণ্ডল বলেন, ‘‘শিশু এবং বয়স্ক-সহ কুকুরের কামড়ে জখম ৩০ জনের চিকিৎসা হয়েছে আমাদের হাসপাতালে। এঁর মধ্যে তিন জনের জখম গুরুতর হওয়ায় তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’’
এলাকার পঞ্চায়েত প্রধান মুস্তাক আহমেদ শেখ বলেন, ‘‘কুকুরটির কামড়ে আর কেউ যাতে জখম না হয় তাই এলাকার মানুষজন কুকুরটিকে মেরে ফেলতে বাধ্য হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy