(উপরে বাঁ দিকে) সোহম মিস্ত্রি। (উপরে ডান দিকে) শুভজ্যোতি ঘোষ, (নিচে বাঁ দিকে) কৌস্তুভ সেন ও বিনীত রাজ। —নিজস্ব চিত্র
সিবিএসই দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে রাজ্যে তৃতীয় হয়েছিলেন দুর্গাপুরের সোহম মিস্ত্রি। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় প্রথম হলেন তিনি। এই স্কুলেরই পড়ুয়া কৌস্তুভ সেন রাজ্যে তৃতীয় এবং শুভজ্যোতি ঘোষ দশম স্থান পেয়েছেন। হেমশিলা মডেল স্কুলের এই তিন ছাত্রের পাশাপাশি রাজ্যে প্রথম দশে রয়েছেন চিত্তরঞ্জনের বার্নপুর রিভারসাইড স্কুলের ছাত্র বিনীত রাজ।
দুর্গাপুরের ৫৪ ফুট রোডের আনন্দপুরী এলাকার বাসিন্দা সোহম নার্সারি থেকে হেমশিলা মডেল স্কুলের ছাত্র। তিনি জানান, প্রতিদিন গড়ে ছ’ঘণ্টা নিজে পড়াশোনা করতেন। সিবিএসই দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ৯৮ শতাংশ নম্বর পেয়ে রাজ্যে তৃতীয় হন। জেইই অ্যাডভান্সড পরীক্ষায় রাজ্যে দ্বিতীয় এবং দেশে ৪৮তম স্থান অধিকার করেন। রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্সে প্রথম হলেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রথম একশোর মধ্যে থাকব ভেবেছিলাম। তবে প্রথম হয়ে যাব ভাবিনি।’’ বেঙ্গালুরুর আইআইএসসি-তে পড়ার সুযোগ থাকলেও আইআইটিতে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করে গবেষণা করতে চান সোহম।
সোহমের বাবা পঙ্কজবাবু এবং মা দোলাদেবী, দু’জনেই দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টে কাজ করেন। তাঁরা জানান, একমাত্র সন্তানকে অষ্টম শ্রেণিতে সিটি সেন্টারের একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি করেন। সেখানেই টানা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন সোহম। এ ছাড়া বাড়িতে টিউশন ও মায়ের কাছে পড়াশোনা করেছেন। সিনেমা দেখতে ও গোয়েন্দা গল্প পড়তে ভালোবাসেন সোহম।
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের রাজ্য জয়েন্টে তৃতীয় হয়েছেন আসানসোলের বিদ্যাসাগর সরণির বাসিন্দা কৌস্তুভ সেন। পড়াশোনার জন্য থাকতেন দুর্গাপুরে। সোহমের সঙ্গেই তিনি বিশেষ প্রশিক্ষণ নেন সিটি সেন্টারের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে। জেইই অ্যাডভান্সড পরীক্ষায় কৌস্তুভ রাজ্যে প্রথম ও দেশে ৪২তম স্থানে ছিলেন। এর আগে জেইই মেন পরীক্ষায় তিনি সারা দেশে ২৯তম স্থান পেয়েছিলেন।
সপ্তম স্থানে থাকা চিত্তরঞ্জনের বিনীত রাজ বৃহস্পতিবার বাড়িতে ছিলেন না। দিদিমার অসুস্থতার খবর পেয়ে তিনি দিন কয়েক আগে বিহারের নালন্দায় গিয়েছেন। সেখান থেকে ফোনে তিনি জানান, জয়েন্টে সাফল্যের খবর মা-বাবার কাছে জেনেছেন। উচ্চ মাধ্যমিকে প্রায় ৯৪ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। মা সুষমা কুমারী ও বাবা অজিতকুমার রাজ চিত্তরঞ্জন রেল কারখানার কর্মী। বিনীত জানান, অবসর পেলেই তিনি গিটার বাজাতে বসে পড়েন।
দশম স্থানে থাকা শুভজ্যোতি ঘোষ আসানসোলের রাসডাঙা লাগোয়া সুমথপল্লির বাসিন্দা। তিনিও পড়াশোনার জন্য দুর্গাপুরে থাকতেন এবং সিটি সেন্টারের প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটিতে পড়েছেন। শুভজ্যোতি জানান, এ বার কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনার ইচ্ছা রয়েছে। বাবা সত্যেন্দ্রনাথ ঘোষ রেলের কর্মী। মা চন্দ্রাণীদেবী জানান, ছেলে পছন্দসই বিষয় নিয়ে পড়তে পারলেই তাঁরা খুশি হবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy