কুম্ভ যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল দুই পুণ্যার্থীর। দুর্ঘটনায় দু’টি পরিবারের চার মহিলা-সহ মোট ছ’জন গুরুতর আহত অবস্থায় আসানসোল জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহতদের মধ্যে এক মহিলার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। বুধবার রাত ১১টা ৩৫ নাগাদ কুলটি থানার চৌরঙ্গি মোড়ে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে গাড়িটি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। মৃতদেহগুলি আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
পুলিশ সূত্রে খবর, বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের অযোধ্যা গ্রাম থেকে দু’টি পরিবারের সাত জন বুধবার একটি চার চাকার গাড়ি করে কুম্ভে স্নান করার উদ্দেশ্যে প্রয়াগরাজ যাচ্ছিলেন। পথে কুলটি থানার চৌরঙ্গি মোড়ে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে গাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। গাড়িচালক সোমনাথ চক্রবর্তী জানান, গাড়িটি ঘণ্টায় ৭০-৮০ কিলোমিটার গতিবেগে যাচ্ছিল। তিনি বলেন, “একটি লরি আমাদের গাড়িকে ধাক্কা মারে। তার পর আমাদের গাড়িটি একটি দাঁড়িয়ে থাকা কন্টেনারে ধাক্কা মারে।” খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কুলটি থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন:
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় শান্তনু মুখোপাধ্যায় (৬৫) এবং শৈলেন বন্দ্যোপাধ্যায় (৬০) নামে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন শান্তনুর পুত্র সৌরভ মুখোপাধ্যায়, স্ত্রী মনসা মুখোপাধ্যায়, পুত্রবধূ অনন্যা মুখোপাধ্যায়, শৈলেনের স্ত্রী রুম্পা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শৈলেনের আত্মীয় শিউলি কর্মকার ও গাড়িচালক সোমনাথ। এর মধ্যে শিউলির অবস্থা সঙ্কটজনক।
কুলটির এসিপি জাভেদ হুসেন জানান, লরিচালককে খোঁজা হচ্ছে।