দুই সুপারি কিলারকে আট দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বর্ধমান আদালত। —নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলের যুবনেতা চঞ্চল বক্সী খুনের ঘটনায় এ বার পুলিশে জালে দু’জন ‘সুপারি কিলার’। শুক্রবার বিকেলে দুর্গাপুর এবং সাঁইথিয়ায় হানা দিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম থানার পুলিশের দু’টি দল। শনিবার বর্ধমান আদালতে তোলা হলে তাদের আট দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম মহম্মদ ইমরান কুরেশি এবং শেখ শের আলি। দু’জনেরই বয়স ২৮। ইমরানের বাড়ি দুর্গাপুরের ডিভিসি মোড়ের কাছে ভবানী পল্লিতে। অন্য দিকে, বীরভূম জেলার দুবরাজপুরের বাসিন্দা শের আলি। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট আট জনকে গ্রেফতার করা হল। বৃহস্পতিবার পুলিশের জালে ধরা পড়েছিল মহম্মদ ইমতিয়াজ ওরফে পিন্টু এবং মহম্মদ পাপ্পু নামে ভিন্ রাজ্যের দু’জন বাসিন্দা। বিহারের মুঙ্গের জেলার মির্জাপুর থানার বর্ধা গ্রামের ওই দু’জনকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয়। ঝাড়খণ্ডের কুন্দাহিট থানা এলাকায় গিয়ে সেখানকার পুলিশের সহযোগিতায় মোবাইল টাওয়ারের লোকেশন দেখে স্থানীয় একটি বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করে আউশগ্রাম থানার পুলিশ। ওই দু’জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে শুক্রবার ইমরান এবং শের আলিকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৭ সেপ্টেম্বর আউসগ্রামের গেঁড়াই থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীদের হাতে গুলিতে খুন হন দেবশালা পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যামল বক্সীর ছেলে তথা তৃণমূলের যুবনেতা চঞ্চল। সিট গঠন করে এই খুনের তদন্ত শুরু করে পুলিশ। সপ্তাহখানেকের মধ্যেই দেবশালা অঞ্চল যুব তৃণমূল সভাপতি তথা পঞ্চায়েতের সদস্য আসানুর মণ্ডলকে পুলিশ গ্রেফতার করা হয়। ধরা পড়ে দেবশালা পঞ্চায়েতের সদস্য মনির হোসেন মোল্লা এবং তৃণমূলের দেবশালা অঞ্চল সভাপতির ছেলে বিশ্বরূপ মণ্ডল। তাদের জেরা করে ভাতকুন্ডা গ্রামের আয়ুব খান নামে আরও এক তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের জেরার পর পাপ্পু এবং ইমতিয়াজ নামে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, তাদের জেরায় এই খুনের দুই সুপারি কিলারের কথা জানা যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy