বিটুমিনের ট্রাক। নিজস্ব চিত্র
কয়েক লক্ষ টাকার বিটুমিন ট্রাকে নিয়ে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। মাঝপথে উধাও হয়ে যায় ট্রাক। বিটুমিনের হদিশ তা পেয়ে গলসি থানায় অভিযোগ করে ওই সংস্থা। তদন্তে নেমে ওই ট্রাকের খালাসিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয় বিটুমিন ভরা ড্রাম ও ট্রাকটি। শনিবার রাতে ট্রাক চালককেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত শেখ মোবারক ওরফে রাজেশের বাড়ি গলসির পুরসাতেই।
কলকাতার ওই সংস্থার কর্তা তুষার অগ্রবালের দাবি, ৫ নভেম্বর হুগলির সিঙ্গুর থেকে ১০৩টি ড্রামে প্রায় সাত লক্ষ টাকার বিটুমিন নিয়ে অসমের গুয়াহাটির দিকে রওনা দেয় ট্রাকটি। সেখানে এক সংস্থার কাছে রাস্তার কাজের জন্য সেগুলি পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। ট্রাক মালিক নুরউদ্দিন শেখের বাড়ি গলসিতে। তাঁর দাবি, ট্রাক রওনা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই চালক ও খালাসির মোবাইল বন্ধ মেলে। তার পরেই আর তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। ক্রেতার কাছেও পৌঁছায়নি বিটুমিন। তখনই বিটুমিন লুট হয়েছে অনুমান করেন তিনি। ২৪ নভেম্বর তিনি গলসি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথম বেপাত্তা ট্রাকের খোঁজ শুরু করে। যোগাযোগ করা হয় অসম পুলিশের সঙ্গেও। তদন্তকারী পুলিশ অফিসার জানান, অসমের রাঙ্গিয়া থানার বলাগাঁওয়ের একটি পেট্রল পাম্পের পার্কিং-এ সিসিটিভি ফুটেজে ট্রাকের খোঁজ মেলে। খোঁজ পাওয়া যায় গাড়ির খালাসি শেখ আনিসুরের। ২৭ নভেম্বর তেজপুর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এর পরেই তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয় ১০১টি ড্রাম ভর্তি বিটুমিন-সহ ট্রাকটি। পুলিশের দাবি, বাকি দুই ড্রাম বিটুমিন ধৃতেরা বিক্রি করে দিয়েছে। ট্রাকে মোট ৬ লক্ষ ৭৪ হাজার ৬৫৯ টাকার বিটুমিন ছিল বলেও পুলিশের দাবি। তবে খালাসি গ্রেফতার হলেও চালকের খোঁজ মিলছিল না। তদন্তকারীদের দাবি, তাঁরা খবর পান মুর্শিদাবাদে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে মোবারক। শনিবার রাতে বড়ঞা থানার কুলি চৌমাথা থেকে তাঁকে ধরা হয়। রবিবার বর্ধমান আদালতে তোলা হলে এক দিন পুলিশ হেফাজতে পাঠান ভারপ্রাপ্ত সিজেএম রাজর্ষি মুখোপাধ্যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy