কঙ্কালেশ্বরী কালী মন্দির প্রাঙ্গণে ধর্মীয় রীতি মেনে বিয়ে হল ১০১ জোড়া পাত্র-পাত্রীর। —নিজস্ব চিত্র।
বর্ধমানের কঙ্কালেশ্বরী কালীমন্দির প্রাঙ্গণে রবিবার রাতে একসঙ্গে জুটি বাঁধলেন ১০১ জোড়া পাত্র-পাত্রী। এই গণবিবাহে শামিল হলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১৪ জোড়া পাত্র-পাত্রীও। প্রত্যেক জুটিকেই মাসখানেকের রেশন-সহ দানসামগ্রীও দেওয়া হয়েছে। ধূমধাম করে আয়োজনে পাত্র এবং পাত্রীপক্ষের পঞ্চাশ জন আত্মীয়ের ভূরিভোজেরও এলাহি বন্দোবস্ত করা হয়েছিল।
রবিবার রাতে এই গণবিবাহের আয়োজক ছিলেন বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাস। কাউন্সিলর থাকাকালীন কঙ্কালেশ্বরী কালীবাড়ি গণবিবাহ কমিটির মাধ্যমে এই গণবিবাহ শুরু করেছিলেন তিনি, যা নবম বর্ষে পা রাখল।
বিয়ের আসরে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এবং চন্দ্রনাথ সিংহ। ছিলেন দুই সাংসদ সুনীল মণ্ডল এবং অসিত মাল, জেলা সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাইচন্দ্র সাহা, জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা, পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন, বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়-সহ আর বহু বিধায়কও।
গণবিবাহ হলেও আয়োজনের খামতি ছিল না। সকাল থেকেই কাঞ্চননগর-সহ শহরে ছিল সাজ সাজ রব। মণ্ডপসজ্জাতেও বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছিল। ছিল আলোকসজ্জা আর সাউন্ড সিস্টেমের বন্দোবস্তও।
বর্ধমানের টাউন হল থেকে রবিবার দুপুরে শোভাযাত্রা করে বরপক্ষ পৌঁছয় কঙ্কালেশ্বরী কালী মন্দিরে। আবার বেলা গড়াতেই টোটো চেপে হাজির হন কয়েক জন বর-সহ বরযাত্রীরা। হাজির হন কনের বাড়ির লোকজনেরাও। উপস্থিত ছিলেন পুরোহিত এবং কাজিরা। তবে যেমন তেমন করে এই অনুষ্ঠান হয়নি। ধর্মীয় রীতি মেনে বিয়ে হয়েছে প্রতি জো়ড়ার। আয়োজকেরা সমস্ত খরচাপাতি বহন করেছেন। দেওয়া হয়েছে সোনার আংটি এবং নাকছাবি। রঙিন টেলিভিশন সেট, খাট, সাইকেল, সেলাই মেশিন-সহ নানা দানসামগ্রীও। এ ছাড়া, প্রত্যেক দম্পতির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বিমার পলিসির কাগজপত্র। এ ছাড়া চাল, আলু, আটা ইত্যাদি মিলিয়ে মাসখানেকের রেশন। দম্পতিদের আত্মীয়স্বজনদের জন্য ভূরিভোজের এলাহি ব্যবস্থাও করা হয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy