Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪

মিড-ডে মিলের চাল কেনার অভিযোগ, ধৃত

মিড-ডে মিলের চাল কেনার অভিযোগে এক মুদি দোকানিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম বসন্ত মাঝি। রবিবার বিকেলে কেতুগ্রামের খাটুন্দি গ্রামের ঘটনা। অভিযোগ, খাটুন্দি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০ বস্তা (প্রতি বস্তায় ৫০ কিলোগ্রাম) মিড ডে মিলের চাল কিনে বাড়ির দোতলায় মজুত করে রেখেছিলেন ওই ব্যবসায়ী।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কেতুগ্রাম শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৪ ০৩:১০
Share: Save:

মিড-ডে মিলের চাল কেনার অভিযোগে এক মুদি দোকানিকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম বসন্ত মাঝি। রবিবার বিকেলে কেতুগ্রামের খাটুন্দি গ্রামের ঘটনা। অভিযোগ, খাটুন্দি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০ বস্তা (প্রতি বস্তায় ৫০ কিলোগ্রাম) মিড ডে মিলের চাল কিনে বাড়ির দোতলায় মজুত করে রেখেছিলেন ওই ব্যবসায়ী। খবর পেয়ে কেতুগ্রাম থানার আই সি বিজয়কুমার ঘোষ ওই চাল বাজেয়াপ্ত করেন এবং স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। আজ, সোমবার ধৃতকে কাটোয়া আদালতে তোলা হবে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার স্কুল ছুটির পরে বিকালের দিকে গ্রামবাসীদের একাংশ দেখেন, স্কুল থেকে মোটরভ্যানে করে ২০ বস্তা চাল মুদি ব্যবসায়ীর বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। খবর নিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, ওই চাল খাটুন্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের মিড ডে মিলের। রবিবার সকালে কেতুগ্রাম থানায় ফোন করে বিষয়টি জানান তাঁরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে আটক করে নিয়ে আসে পুলিশ। পুলিশ জানায়, জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, মিঠুন দাস নামে এক ভ্যানচালক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কথা মতো তাঁর কাছে ২০ বস্তা চাল পৌঁছে দেয়। পুলিশ বিষয়টি কেতুগ্রাম ১ বিডিও বিনয়কৃষ্ণ বিশ্বাসকে জানায়। বিডিও জানান, মিড-ডে মিলের চাল কোনও অবস্থাতেই বিক্রি করা যায় না। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি।

এ দিকে বেলা ১১টা নাগাদ কেতুগ্রাম থানায় আসেন ওই গ্রামের বাসিন্দা অরূপ পাল, জয়রাম মণ্ডলেরা। তার কিছুক্ষণ পরে আসেন প্রধান শিক্ষক অনঙ্গমোহন রায়চৌধুরী। থানার পাশের রাস্তাতেই প্রকাশ্যে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। প্রধান শিক্ষক গ্রামবাসীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন যে পরিচালন সমিতিতে আলোচনা হওয়ার পরেই তিনি চাল বিক্রি করেছেন। এ ব্যাপারে রেজেলিউশনও আছে। পুলিশ জানিয়েছে, ৯ জানুয়ারি পরিচালন সমিতিতে মিড-ডে মিলের চাল বিক্রি নিয়ে আলোচনা হবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। ১৬ জানুয়ারি বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও হয়। সেখানে ঠিক হয়, মিড ডে মিলের চাল পচে যাচ্ছে। ওই চাল বিক্রি করে পড়ুয়াদের মাংস ও ডিম খাওয়ানো হবে। যদিও ধৃতের দাবি, আমি স্কুলের কাছে এক মাসের জন্য কুড়ি হাজার টাকা পাব। প্রধান শিক্ষক ওই চাল নিয়ে ধারের টাকা মেটানোর কথা বলেছিলেন। এ ভাবে বিপদে পড়ব ভাবিনি। প্রধান শিক্ষক অবশ্য দাবি করেছেন, “রেজেলিউশন অনুযায়ী তিনি মুদির দোকানে চাল বিক্রি করেছেন। চাল বিক্রি যে বেআইনি তাও তিনি স্বীকার করেছেন।

তবে ওই স্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদক রত্নাকর দে বলেন, “এ বিষয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা হয়নি। বাকি সদস্যদের ভুল বুঝিয়ে, পরবর্তী সময়ে ওই রেজেলিউশন করেছেন প্রধান শিক্ষক।” কেতুগ্রাম ১ বিডিও বিনয়কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, “ওই রেজেলিউশনটাই অবৈধ। চাল বিক্রির পাশাপাশি আমরা তদন্ত করে দেখব, স্কুলে ১০ ক্যুইন্টাল চাল মজুত হল কী করে।”

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy