ভিড়ের মধ্যে অন্য সাজে এক বিজেপি সমর্থক।—নিজস্ব চিত্র।
নির্ধারিত সময় ছিল বেলা পৌনে ১২টা। কিন্তু তার ঘণ্টা চারেক আগে থেকেই সভাস্থলে আনাগোনা শুরু মানুষের। সকলেই চাইছিলেন, যতটা সম্ভব মঞ্চের কাছে গিয়ে বসতে। শেষে নির্ধারিত সময়ের প্রায় সওয়া দু’ঘণ্টা পরে যখন নরেন্দ্র মোদী এলেন, পোলো ময়দান ছাড়িয়ে মানুষের ভিড় জমে গিয়েছে অনেক দূর পর্যন্ত।
মোদীর কথা শুনতে প্রবীণদের আগ্রহ যেমন চোখে পড়েছে, তেমনই নজরে এসেছে নবীনদের উৎসাহ। রানিগঞ্জের বাসিন্দা, একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র দীপ্তজ্যোতি ভদ্র জানান, কলেজে কখনও ছাত্র রাজনীতি করেননি। ভবিষ্যতেও সে রকম পরিকল্পনা নেই। এর আগে কখনও কোনও রাজনৈতিক সভাতেও যাননি। তবে এখানে এসেছেন শুধু মোদীর টানে। কেন? তিনি বলেন, “শুনছি, তিনি নানা আধুনিক পরিকল্পনা মাথায় নিয়ে এগোচ্ছেন। কী বলেন, তা শোনার আগ্রহ ছিল।” আবার আসানসোলের বাসিন্দা, পেশায় ব্যবসায়ী প্রকাশ ঢিবরিবাল বলেন, “অনেক দিন ধরে মোদীকে দেখার সাধ ছিল। ওঁর কথা শোনার ইচ্ছেও ছিল। শুনে ভাল লাগল।”
জনতার এই উচ্ছ্বাস দেখে মঞ্চে উঠে আপ্লুত হয়ে পড়েন মোদীও। বিপুল জন সমাগম দেখে তিনি বক্তব্যের শুরুতেই মাইক ছেড়ে এগিয়ে এসে করজোড়ে ধন্যবাদ জানান।
এ দিন ভিড়ের চাপে বার্নপুর রোড ধরে কোনও গাড়ি চলতে পারেনি। ফলে, বিএনআর বাসস্ট্যান্ড থেকে প্রচুর মানুষকে প্রায় তিন কিলোমিটার হেঁটে মোদীর সভাস্থলে পৌঁছতে হয়েছে। নরেন্দ্র মোদীর নামে স্লোগান দিতে দিতে পোলো ময়দানে গিয়েছেন তাঁরা। সভা শেষের পরেও শহরের রাস্তা স্বাভাবিক হতে বেশ খানিকটা সময় লেগে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy