মঙ্গলবার আসানসোলে তৃণমূল প্রার্থী দোলা সেন। —নিজস্ব চিত্র।
উল্টো দিকে কে প্রার্থী, সে নিয়ে তাঁর মাথাব্যথা নেই। অভিজ্ঞ সাংসদ, বিখ্যাত গায়ক বা শ্রমিক নেতার মেয়ে—যে-ই থাকুন না কেন তাঁর উল্টো দিকে, এ নিয়ে তিনি ভাবছেনই না। আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী দোলা সেনের এমনই দাবি।
শুক্রবার তাঁর সমর্থনে কুলটি থানা মোড় ও সালানপুর আছরা ফুটবল মাঠে দু’টি জনসভা করবেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মঙ্গলবার জানালেন দোলা। তিনি জানান, এই সভার প্রস্তুতি সাংগঠনিক ভাবে শুরু হয়ে গিয়েছে। সভা দু’টি হবে দুপুর ২টো ও বিকেল ৩টে নাগাদ। এই প্রচণ্ড গরমে ওই সভায় জনসমাগম নিয়ে খানিকটা চিন্তায় দলের একাংশ, তবে তৃণমূল প্রার্থী নিঃসংশয়। দোলা বলেন, “রাজ্যবাসীর কাছে প্রথম ও শেষ কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সভায় ভিড় হয়নি, এমন কখনও হয়নি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা মানুষ রোদে অপেক্ষা করে তাঁর কথা শুনেছেন। এখানেও রেকর্ড ভিড় হবে।”
আসানসোলে ভোটের প্রচারে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কোনও তারকা আসবেন কি না, জানতে চাওয়া হলে দোলা বলেন, “তৃণমূলের একমাত্র তারকা মমতাদি নিজেই।” মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে রাজ্যে উন্নয়নের ধারা দেখেই তৃণমূলে ভোট দেবেন মানুষ, দাবি তাঁর। এই ক’দিন লোকসভা কেন্দ্রের যেখানেই প্রচারে গিয়েছেন, সর্বত্র মানুষকে এ কথাই বলছেন তিনি।
দোলার সটান দাবি, “আমার উল্টো দিকে কে প্রার্থী, সেটা বিচার্য নয়। তিনি অভিজ্ঞ সাংসদ, না বিখ্যাত গায়ক, না কি শ্রমিক নেতার মেয়ে—কিছুই মমতা ঝড়ের কাছে টিকবে না।” তিনি আরও জানান, এক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকাও গৌণ। রাজ্যের মানুষ এ বার হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেবেন, অথবা তাঁর বিপরীতে ভোট দেবেনএলাকায় রোড-শো বা ঘরে-ঘরে প্রচার, সব ক্ষেত্রেই এ কথা বলে ভোট চাইছেন তৃণমূলের এই শ্রমিক নেত্রী। তাঁর মতে, দিল্লিতে পরিবর্তন আনা জরুরি, এবং সে জন্য নির্ণায়ক শক্তি হতে হবে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁর আরও দাবি, “তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে রাজ্যে কর্মসংস্থান বেড়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত রুগ্ণ সংস্থাগুলি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। শ্রমিক শ্রেণির জীবনযাত্রার মান বেড়েছে।” তাই মানুষ তাঁদের ভোট দেবেন, আশায় তিনি।
দোলার এ সব দাবি অবশ্য মানতে চাননি এই কেন্দ্রে এ বারের সিপিএম প্রার্থী তথা গত দু’বারের সাংসদ বংশগোপাল চৌধুরী। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “গত আড়াই বছরে বহু কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আসানসোলের শিল্পতালুকগুলির বেহাল অবস্থা। নতুন কোনও শিল্প আসেনি। আমাদের দীর্ঘ লড়াইয়ের ফলেই শ্রমিক শ্রেণির জীবনযাত্রার মান খানিকটা ফিরেছিল। শিল্পাঞ্চলের মানুষ এ সব জানেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy