চন্দনা মাঝি। —নিজস্ব চিত্র।
ন’বছর ধরে তিনি শহরের কাউন্সিলর। এ বার সেখান থেকে লোকসভায় প্রার্থী।
অন্য জন পড়াশোনা করতে করতে পেয়েছিলেন যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সম্পাদিকার দায়িত্বভার। এ বার লড়বেন লোকসভায়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় দিল্লি থেকে কংগ্রেসের তরফে দলের যে পঞ্চম প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হয়, তাতে বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের জন্য কাটোয়ার কাউন্সিলর চন্দনা মাঝি ও আসানসোলে দলের যুবনেত্রী ইন্দ্রাণী মিশ্রের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তৃণমূল, বামফ্রন্ট, বিজেপি আগেই প্রার্থী ঘোষণা করে প্রচারে নেমে পড়ায় ক্ষোভ বাড়ছিল কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে। এ বার তাঁরাও জোরকদমে প্রচারে নেমে পড়বেন বলে জানাচ্ছেন কংগ্রেস নেতারা।
কাটোয়ার বাসিন্দা, ৪৮ বছরের চন্দনাদেবী ২০০৫ সাল থেকে পুরসভার কাউন্সিলর। তিনি বড় হয়েছেন রাজনৈতিক পরিবেশেই। তাঁর বাবা দুর্গাপুরের মেয়র পারিষদ ছিলেন। মামা-মেসোরাও নানা সময়ে বিধায়ক ছিলেন। স্বভাবতই রাজনৈতিক সচেতনতা ছিল ছোট থেকেই। তাঁর স্বামী চন্দ্রকান্ত মাঝিও প্রদেশ কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন। এ দিন চন্দনাদেবীর নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার পরেই তাঁর শাশুড়ি মুক্তিবালা মাঝি বলেন, “খুব ভাল খবর। জোর লড়াই করতে হবে।” দুর্গাপুর মহিলা কলেজ থেকে স্নাতক হন চন্দনাদেবী। ২৭ বছর আগে বিয়ে হয় তাঁর। তিনি জানান, এখন দুই মেয়েও পরামর্শ দিচ্ছে, কী করতে হবে। চন্দনাদেবী বলেন, “প্রচার থেকে শুরু করে সব কিছুই করব কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশ মতো।” প্রার্থী হিসেবে পিছিয়ে পড়লেন কি না, সে প্রশ্নে তিনি বলেন, “দলের প্রতীকই সব। দেওয়াল লিখন অনেক আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে।” তাঁর দাবি, “বাম বিরোধী মানুষেরা কংগ্রেসকেই ভোট দেবেন। মনে রাখতে হবে, এখানে তৃণমূলের যিনি প্রার্থী হয়েছেন, কিছুদিন আগেও তিনি বামফ্রন্টে ছিলেন।” প্রদেশ কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক তথা বিধায়ক রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “আমরা মহিলা প্রার্থী পেয়ে গর্বিত। কর্মীরাও উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy