দিন কয়েক আগেই প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি-সহ বহু যুব কংগ্রেস নেতা-কর্মী যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। তার পর দলের কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার জন্য দুর্গাপুরের বিধান ভবনে কর্মিসভা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। দল ছেড়ে যাওয়া কর্মীদের আর কখনও ফেরানো হবে না বলে জানিয়ে দেন তিনি।
সোমবারের সভায় অধীরবাবু বলেন, “বিজেপি বলত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ দুর্বল ছিলেন। তাই ভারতের সীমান্তে চিন ও পাকিস্তান ঢুকে যাচ্ছে। কিন্তু এখন নরেন্দ্র মোদী কী করছেন?” প্রদেশ সভাপতির কটাক্ষ, “মনমোহন সিংহের নওয়াজ শরিফকে খাওয়ার নিমন্ত্রণ করেছিলেন বলে বিজেপি বিদ্রুপ করেছিল। কিন্তু বিজেপির প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণের দিন প্রধান আমন্ত্রিত হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।” কেন্দ্র সরকারের সঙ্গেই এ রাজ্য তৃণমূল সরকারকেও এক হাত নেন অধীরবাবু। বলেন, “সবাই ভেবেছিল দিদির জাদুতে সব ঠিক করে দেবে। কিন্তু তিন বছরেই মানুষ তৃণমূলের ঠেলা বুঝে গিয়েছে। যেখানে দেশের শিল্পপতিরাই রাজ্যে থাকতে পারছেন না সেখানে বিদেশ থেকে কোনও শিল্পপতি আসবেন না।”
এ দিনের কর্মিসভায় কর্মীরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করে প্রদেশ সভাপতিকে। এক কর্মী জানতে চান, যে সব কংগ্রেস কর্মী দল ছেড়ে গিয়েছেন তাঁদের আর কখনও দলে নেওয়া হবে কি না। এই প্রশ্নের উত্তরে অধীরবাবু জানান, তিনি যত দিন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি থাকবেন তত দিন সে রকম কাউকে দলে নেওয়া হবে না। কুলটি পুরসভার ভোট নিয়েও আলোচনা হয়। কর্মীরা দাবি করেন, পুরভোটের প্রার্থী ঠিক করার সময় এলাকার নেতা-কর্মীদের গুরুত্ব দিতে হবে। এই বিষয়ে সহমত হন অধীরবাবু। তিনি দাবি করেন, কংগ্রেস শেষ হয়ে যায়নি। এর আগেও অনেক সমস্যার মধ্যে দিয়ে দল গিয়েছে। তৃণমূল নেতারা যুব কংগ্রেস তৃণমূলে মিশে গিয়েছে বলে দাবি করলেও এ দিন অধীরবাবু পাল্টা বলেন, “৩৬ জন যুব কংগ্রেস সভাপতি আমার মোবাইলে এসএমএস করে জানিয়েছেন, তাঁরা কংগ্রেসেই রয়েছেন।”
কর্মিসভা শেষে সারদা-কাণ্ড নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে অধীরবাবুর দাবি করেন, “সিবিআইকে যদি নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করতে দেওয়া হয় তাহলে অনেক রাঘব বোয়াল জেলে যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy