Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪

আমন-বোরোর সঙ্গে চাষ করুন সুগন্ধী ধান, পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

আউশ, আমন, বোরো ধানের পাশাপাশি সুগন্ধী ধানের চাষ বাড়ালে লাভ বাড়বে চাষিদের। কারণ বর্তমানে অনুষ্ঠান বাড়ি ছাড়াও গেরস্থালী বাড়িতেও চাহিদা বাড়ছে বিভিন্ন রকমের সুগন্ধি চালের। এমনটাই জানাচ্ছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। কালনা শহরের পান্থনীড় প্রেক্ষাগৃহে একটি সার প্রস্তুতকারী সংস্থার উদ্যোগে হওয়া কৃষি প্রশিক্ষণ শিবিরে এসে কৃষি কর্তারা জানান, বর্তমানে বর্ধমান জেলায় বাদশাভোগ, গোপালভোগ, কামিনীভোগ, গোবিন্দভোগ এবং রাঁধুনীপাগল এই পাঁচ প্রকার সুগন্ধী ধানের চাষ হয়।

সুগন্ধী ধান। —নিজস্ব চিত্র।

সুগন্ধী ধান। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কালনা শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৪ ০০:২১
Share: Save:

আউশ, আমন, বোরো ধানের পাশাপাশি সুগন্ধী ধানের চাষ বাড়ালে লাভ বাড়বে চাষিদের। কারণ বর্তমানে অনুষ্ঠান বাড়ি ছাড়াও গেরস্থালী বাড়িতেও চাহিদা বাড়ছে বিভিন্ন রকমের সুগন্ধি চালের। এমনটাই জানাচ্ছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা।

কালনা শহরের পান্থনীড় প্রেক্ষাগৃহে একটি সার প্রস্তুতকারী সংস্থার উদ্যোগে হওয়া কৃষি প্রশিক্ষণ শিবিরে এসে কৃষি কর্তারা জানান, বর্তমানে বর্ধমান জেলায় বাদশাভোগ, গোপালভোগ, কামিনীভোগ, গোবিন্দভোগ এবং রাঁধুনীপাগল এই পাঁচ প্রকার সুগন্ধী ধানের চাষ হয়। এই চালগুলির জন্য প্রয়োজনীয় বীজ পাওয়া যায় হুগলির চুঁচুড়ার ধান্য গবেষণাকেন্দ্রে। এক কৃষি বিশেষজ্ঞ জানান, রাজ্যের বিভিন্ন মাটিতে প্রায় ২৬ প্রজাতির সুগন্ধী ধানের বীজ দিয়ে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, বাদশাভোগ, রাঁধুনীভোগ ও গোবিন্দভোগ এই তিন প্রকার সুগন্ধী চালের ফলন মোটামুটি সব মাটিতেই ভাল হয়। কৃষি কর্তাদের দাবি, আউশ, আমন কিংবা বোরো ধানের চাষ করলে প্রতি মাসে লাভের নিশ্চয়তা থাকে না। কিন্তু সুগন্ধী ধানের চাষ করলে লাভ মোটামুটি নিশ্চিত। উদাহরণ দিতে গিয়ে তাঁরা বলেন, গত বছর সুন্দরবন এলাকায় চাষিদের কয়েকটি সংগঠন সুগন্ধী ধানের চাষ করে বেশ কয়েক হাজার টাকা লাভ করেছিল।

আলোচনার সময় সুগন্ধী ধানচাষের সময়ে কীভাবে বীজতলা করতে হবে, কোন সার প্রয়োগ করলে লাভ হবে, সেই বিষয়েও পরামর্শ দেওয়া হয়। উপস্থিত এক ধান গবেষক বলেন, “চাষিরা মাটির কলসিতে বীজ রেখে তারপরে কলসির মুখ কাদা দিয়ে আটকে রাখলে ভাল ফল মিলবে।” এছাড়াও যেখানে ধানের বীজ রাখা হবে সেখানে গোলমরিচ রাখা হলে বীজে পোকা লাগার সম্ভবনা থাকে না বলে উপস্থিত চাষিদের জানান তিনি। একই সঙ্গে কৃষি কর্তারা জানান, টিন কিংবা প্ল্যাস্টিকের পাত্রে ধানের বীজ রাখা উচিত নয়।

আলোচনায় বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, যে এলাকাগুলি খরাপ্রবণ অথবা কম বৃষ্টি হয়, সেখানে সুগন্ধী ধানের ফলন ভাল হয়। তবে, বেশি ফলনের আশায় এক-একটা জায়গায় একাধিক চারা পুঁতলে সমস্যা হতে পারে। নিয়ম অনুযায়ী, আমন ধানের ক্ষেত্রে একটি জায়গায় ২টি থেকে ৩টি ও বোরো ধানের ক্ষেত্রে ৩টি থেরে ৫টি চারা লাগানো উচিত।

শুধু সুগন্ধী ধানই নয়, শিবিরে সব্জি চাষের বিভিন্ন সমস্যা নিয়েও আলোচনা করা হয়। উপস্থিত কৃষি বিশেষজ্ঞরা লঙ্কা, বেগুন, টমেটো, ফুলকপির মতো সব্জিতে কী ভাবে সংক্রমণ আটকানো সম্ভব সেই বিষয়ে আলোচনা করেন। কালনা মহকুমা কৃষি দফতরের সহ কৃষি অধিকর্তা পার্থ ঘোষ টমেটো চাষের সময়ে খেতে গাঁদা ফুলের চাষ করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, “এর ফলে বেশির ভাগ ক্ষতিকারক রোগ পোকা টমেটো গাছ থেকে সরে গাঁদা গাছের দিকে চলে যাবে।”

অন্য বিষয়গুলি:

boro farm kalna
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy