দাদাগিরি: বন্ধ ঘোষণা সত্ত্বেও দোকান খোলা রাখায় শাসানি বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। বুধবার কলেজ স্ট্রিটের বইপাড়ায়। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
যানবাহন যথেষ্ট ছিল রাস্তায়। মানুষ পথে কম বেরোলেও স্কুল-কলেজ, দোকানপাট প্রায় সবই খুলেছে অন্য দিনের মতো। স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটেনি শিল্পাঞ্চল, চা-বাগান, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে। সরকারি দফতরের হাজিরা ছিল অন্য দিনের মতোই।
ইসলামপুরের দাড়িভিট হাইস্কুল কাণ্ডে দুই তরুণের মৃত্যুর প্রতিবাদে ডাকা বন্ধের দিনে মৃত্যুও ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। তবে ঘটনাটি ঘটে সন্ধ্যায়, বন্ধ মিটে যাওয়ার পরে।
বিচ্ছিন্ন গোলমাল হয়েছে কলকাতা ও কয়েকটি জেলায়। কলকাতায় একটি, উত্তরবঙ্গে দু’টি এবং ঝাড়গ্রামে একটি সরকারি বাসে আগুন লাগানো হয়েছে। হাওড়ায় ভাঙচুর হয়েছে পাঁচটি বাসে। বড় গোলমাল হয়েছে ইসলামপুরেও। রাজ্য জুড়ে গ্রেফতার হয়েছেন ১৬০০ জন। এক নজরে এটাই হল বুধবার বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টা বন্ধের চেহারা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বন্ধের বন্ধ্যা রাজনীতি বাংলার মানুষ বন্ধ করে দিয়েছেন।’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অবশ্য দাবি, ‘‘বন্ধ সফল। তৃণমূল উত্তেজনা তৈরি করে বন্ধ আরও সফল করছে।’’
এ দিন কেশিয়াড়ির খাজরাবাজারে গোলমালের জেরে দিনভর নিজের পানের দোকান খুলতে পারেননি বিভুরঞ্জন দাস (৪৫)। সন্ধ্যায় দোকান খোলার সময়ে গুলি চালাতে চালাতে হাজির হয় এক দল দুষ্কৃতী। পেটে গুলি লাগে বিভুরঞ্জনের। মেদিনীপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোযণা করা হয়। তৃণমূলের দাবি, বিভু তাদের সমর্থক। বিজেপিই হামলা চালিয়েছে। অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপির পাল্টা দাবি, গুলি চালিয়েছে তৃণমূল। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির যোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনা সম্পর্কে মমতা বলেছেন, ‘‘বিজেপি রাজনীতির লজ্জা। এদের রাজনীতি করার কোনও অধিকার নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy