বেহালার বাড়ি নিয়ে ফের টানাপোড়েন রত্না-বৈশাখীর। নিজস্ব চিত্র.
রত্না চট্টোপাধ্যায় পুরভোটে দাঁড়ানোর টিকিট পেয়েছেন শুক্রবার সন্ধ্যায়। তার পরেই রত্নাকে ফের বেহালার পর্ণশ্রীর বাড়ি ছাড়ার নোটিস পাঠালেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর জানা যায়, শোভন চট্টোপাধ্যায় তাঁর বান্ধবী বৈশাখীকে নিজের পর্ণশ্রীর বাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছেন। সেই সময় রত্না বলেছিলেন, ‘‘বাড়ি বিক্রির প্রমাণ আমাকে দেখাতে হবে। কী ভাবে বাড়ি কেনা হয়েছে তা-ও দেখতে হবে।’’ পাল্টা বৈশাখীর দাবি ছিল, শোভনের পর্ণশ্রীর বাড়ির স্বত্ব হাতে পেয়ে গিয়েছেন। ১৩৯ ডি/৪ মহারানি ইন্দিরা দেবী রোডের বাড়িটির মালিক তিনিই। বৈশাখী জানিয়েছেন, বিভিন্ন মামলার আইনি খরচ চালাতে সমস্যা হচ্ছিল শোভনের। তাই বান্ধবী হিসেবে শোভনকে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শোভন তাঁর দু’টি বাড়ির মধ্যে একটি বৈশাখীকে বিক্রি করতে চান। বৈশাখীর দাবি, বন্ধু হিসেবেই তিনি কলকাতার প্রাক্তন মেয়রের কাছ থেকে বাড়িটি কিনেছেন। তবে বৈশাখীর এ বারের নোটিসকে বেহালা পূর্বের বিধায়ক রত্নাআমল দিতে চান না বলেই ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ৫ নভেম্বর বেহালার বাড়ি ছেড়ে গোলপার্কের এক বহুতলে এসে ওঠেন শোভন। সেই থেকে আর পর্ণশ্রীর বাড়িতে যাননি তিনি। বৈশাখী জানিয়েছিলেন, এখন শোভনের আয়ের পথ বলতে মহেশতলায় থাকা গোডাউন। তাই স্ত্রী রত্না-সহ তাঁর বাবা দুলাল দাস ও ভাই শুভাশিস দাসকে আইনি চিঠি পাঠিয়ে ‘ক্লেম সেটেলমেন্ট’ চেয়েছিলেন শোভন। কিন্তু কোনও সদুত্তর না পাওয়ায় আর্থিক সমস্যা মেটাতে বাড়ি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বেহালা পূর্বের প্রাক্তন বিধায়ক। বৈশাখীর দাবি, আইন সম্মত ভাবেই বেহালা পর্ণশ্রীতে থাকা শোভনের বাড়িটি কিনেছেন তিনি। তাই সময়মতো ওই বাড়িটি খালি করতে নোটিস পাঠানো হয়েছে রত্নাকে। তবে গত জুন মাসেই শোভন তাঁর সমস্ত সম্পত্তি বৈশাখীর নামে করে দিয়েছেন। তার পর সেপ্টেম্বর মাসে বাড়িটিও বৈশাখীকে বিক্রি করে দেন তিনি। তবে রত্নার ঘনিষ্ঠমহলের দাবি, মহারানি ইন্দিরা দেবী রোডেরবাড়িটি আসলে শোভনের পৈত্রিক সম্পত্তি। আইনতভাবে পৈত্রিক সম্পত্তি কাউকে বিক্রি করা যায় না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy