প্রতীকী ছবি।
মুখ্যমন্ত্রী করোনা যোদ্ধাদের সম্মান জানানোর কথা বলছেন। অথচ বুধবার সন্ধ্যায় বহরমপুরে মাতৃসদন করোনা হাসপাতালে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূলের মফিজুদ্দিন মণ্ডলকে ভর্তি করার সময়ে তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে হাসপাতালের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপরে হামলার অভিযোগ উঠল। হাসপাতালে ভাঙচুরের অভিযোগও উঠেছে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার শর্মিলা মল্লিক বলেন, ‘‘ওই ব্যক্তির সঙ্গে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা এক চিকিৎসকের গায়ে ধাক্কা দিয়েছেন, তাঁর জামার বোতাম ছিঁড়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের হেনস্থা করেছেন। ভাঙচুরও করা হয়েছে। চিকিৎসক, নার্সরা কাজ করতে চাইছেন না। রোগীর পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হবে।’’ শর্মিলা বলেন, ‘‘বিধি মতো ওই রোগীকে করোনার উপসর্গ রয়েছে, এমন ওয়ার্ডেই ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর অনুগামীরা জোর করে তাঁকে করোনা পজ়িটিভ রোগীদের সিসিইউ-তে ঢুকিয়ে দেন।’’ মফিজুদ্দিনের ছেলে রুবেল মণ্ডলের অবশ্য দাবি, ‘‘মারধর, ভাঙচুর বা হামলার অভিযোগ ঠিক নয়। বাবার খুব শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। তাঁকে দ্রুত ভর্তি করতে বলা হলেও, হাসপাতালের কর্মীরা ঢিমেতালে কাজ করছিলেন। তাই বাবার অনুগামীদের সঙ্গে একটু ধস্তাধস্তি হয়েছে।’’ জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের খান বলেন, ‘‘কী ঘটেছে জানা নেই। খোঁজ নিচ্ছি। তবে ব্যক্তিগত ভাবে কেউ কিছু করলে দায় দলের উপরে বর্তায় না।’’
মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার বলেন, ‘‘কোনও রকম উপসর্গ না থাকায় ওই রোগীকে সিসিইউ-তে ভর্তি নেওয়া হয়নি। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে রোগীর পরিজনদের সঙ্গে গন্ডগোল হয়েছে। আমরা চার জনকে আটক করেছি।’’
জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমানও সেখানে যান। সুপার শর্মিলা বলেন, ‘‘জঙ্গিপুরের সাংসদও করোনা পজ়িটিভ রোগীদের সিসিইউ-তে পর্যন্ত ঢুকে গিয়েছিলেন। তাঁর এমন ভূমিকা আশা করিনি।’’ খলিলুরের দাবি, ‘‘সিসিইউতে ঢোকার অভিযোগ ঠিক নয়। সুপারের সঙ্গে দেখা করার জন্য বাইরে বসেছিলাম। তিনি দেখা করেননি। পরে আমি চলে এসেছি।’’ আক্রান্ত চিকিৎসক জানান, যা বলার মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ, মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিককে জানিয়েছি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy