রাত পেরোলেই ভোটের রেজাল্ট। রাজ্যের ক্ষমতা কার হাতে আসবে তার ভাগ্য নির্ধারণের দিন। ভোট পরবর্তী সমীক্ষা অবশ্য পাল্লা তৃণমূলের দিকেই ঝুঁকিয়ে রেখেছে। উলটপূরাণ হবে? নাকি আরও পাঁচ বছরের জন্য এ রাজ্যের রাশ থাকবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই হাতে? এই মুহূর্তে কার ভাগ্য কেমন? কে হতে চলেছেন আগামী দিনের মুখ্যমন্ত্রী? কী বলছেন জ্যোতিষীরা?
পার্থপ্রতিম আচার্য: তৃণমূলই ক্ষমতায় আসছে। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই মুহূর্তে শনির দশায় শুক্রের অন্তর্দশা ভোগ করছেন। তাই তাঁর পক্ষে রেজাল্ট পজিটিভ হবে। তৃণমূল পাবে ১৫০টির মতো আসন। উল্টো দিকে সূর্যকান্ত মিশ্রের এই মুহূর্তে বৃহস্পতির দশায় কেতুর অন্তর্দশা চলছে। তাঁর পক্ষে এই সময়টা শুভ না হলেও ততটা খারাপ নয়। তাই ততটাও খারাপ ফল হবে না। তবে তিনি মানসিক এবং শারীরিক ভাবে ভেঙে পড়তে পারেন। কাছের লোকেরা দূরে চলে চলে যাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সমীক্ষার ইঙ্গিতে আরও বাড়ল হিংসা, ধৈর্যের বার্তা সূর্যদের
অসীম দাস: বৃশ্চিক রাশিতে শনি এবং মঙ্গলের অবস্থান থাকায় এবং সিংহ রাশিতে বৃহস্পতি এবং রাহুর অবস্থান থাকার জন্য এই মুহূর্তে পরিবর্তন আসা সম্ভব নয়। যেহেতু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলের জাতিকা এবং এই মুহূর্তে বৃহস্পতি সিংহ রাশিতে অবস্থান করছে তাই এটা তাঁর জয়লাভের সময়। কোনও ভাবেই জোটের পক্ষে তাঁকে পরাস্ত করা সম্ভব নয়।
জয়দেব শাস্ত্রী: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এখন রাহুর দশা চলছে। রাহু কন্যায় অবস্থায় করছে। সে কারণে তাঁর পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটজনক। নিজের কেন্দ্র ভবানীপুরের ফলাফল তাঁর বিপক্ষে যেতে পারে। তবে তৃণমূলকে নিয়ন্ত্রণ করছে মঙ্গল। মঙ্গলের অবস্থানের জন্যই তাঁর দল তৃণমূলের সামনে কোনও বাধা নেই। ক্ষমতায় তৃণমূলই আসতে চলেছে।
মলয় পান্ডে: রাজনীতির ক্ষেত্রে পাঁচটি গ্রহ সবচেয়ে প্রভাবশালী— রবি, শনি, মঙ্গল, রাহু ও কেতু। এই পাঁচ গ্রহের বর্তমান অবস্থান খুব স্পষ্ট করে বলে দিচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী হতে চলেছে।
রবি এখন বৃষ রাশির ঘরে অবস্থান করছে। বৃষ রাশির ঘর হল শুক্রের ঘর। গোটা বিশ্বে সুখ, যশ, খ্যাতি— এই সমস্ত কিছুর নিয়ন্ত্রক গ্রহ হল শুক্র। রবি সেই ঘরে অবস্থান করছে মানে শুক্রের অবস্থান এখন উজ্জ্বল। ১৬ মে এই ঘরে ঢুকেছে রবি। ১৬ জুন পর্যন্ত এখানেই অবস্থান করবে। অর্থাৎ, এই সময়কালে শুক্রের অবস্থান উজ্জ্বল থাকবে। অর্থাৎ ক্ষমতাসীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতা হারানোর আশঙ্কা নেই।
শনি এই সময় অবস্থান করছে বৃশ্চিক রাশিতে। বৃশ্চিক রাশির অধিপতি মঙ্গল। এই মঙ্গলের রং আবার লাল। অর্থাৎ লালের ঘরে শনি-মঙ্গল যোগ। শনি-মঙ্গল যোগ সব সময়েই অশুভ। লাল পতাকা যাঁদের, তাঁদের দুর্দিন চলছে।
চন্দ্র অবস্থান করছে কন্যা রাশিতে। এই রাশির অধিপতি বুধ। চন্দ্র এবং বুধের যোগ সব সময়েই শুভ। চন্দ্রের রং যেহেতু সাদা, সেহেতু সাদা রং ব্যবহারকারীদের জন্য এখন শুভ যোগ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাদা শাড়ি তাঁর জন্য উপকারী প্রমাণিত হতে চলেছে।
রাহু অবস্থান করছে সিংহ রাশির ঘরে। একই ঘরে অবস্থান করছে বৃহস্পতিও। অর্থাৎ বৃহস্পতি এখন রাহুগ্রস্ত। বৃহস্পতি হল গুরুগ্রহ। কোনও অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে তার বিনাশ ঘটাতে হলে বৃহস্পতিকে সক্রিয় হতে হয়। রাজ্যের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের দিকে নজর রেখে যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অশুভ ধরে নেওয়া হয়, তা হলে সেই অশুভের বিনাশ আপাতত সম্ভব নয়। কারণ বিনাশ যে ঘটাবে, সেই বৃহস্পতি আপাতত রাহুগ্রস্ত।
রাজনীতির জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ গ্রহ কেতু। কেতু যাঁর সহায়, রাজনীতিতে তাঁর অগ্রগতি রোখা যায় না। কেতুর অবস্থান এখন কুম্ভ রাশিতে। এই কুম্ভ রাশির অধিপতি শনি। তাই কুম্ভের রং নীল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পছন্দের রংও নীল এবং সাদা। কেতু নীলের সহায়, অর্থাৎ মমতারও সহায়। তাঁর অগ্রগতি এখনই থামছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy