দিল্লির আগুন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বাংলার। প্রশ্ন উঠছে, বাংলার প্রশাসনিক ভবন, বিশেষত বিধানসভা ভবন কতটা সুরক্ষিত?
স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, অগ্নি-সুরক্ষার প্রশ্নে বিধানসভা ভবন যথেষ্টই সতর্ক। তিনি রবিবার জানান, আগুনের মোকাবিলায় নতুন নতুন যন্ত্রাংশ আনা হচ্ছে। প্রয়োজন অনুযায়ী বদলে ফেলা হচ্ছে আসবাব, বাতানুকূল ব্যবস্থার পুরনো যন্ত্রাংশ ও বৈদ্যুতিক সংযোগ ব্যবস্থা। স্পিকারের কথায়, “কর্মীরা রয়েছেন পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য। সব মিলিয়ে আমরা যথাসম্ভব সতর্ক রয়েছি।”
এ দিনই দুপুরে সংসদ ভবন চত্বরে ভয়াবহ আগুন লাগে। পরিস্থিতি সামলাতে দশটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। তবে মূল সংসদ ভবনের কোনও ক্ষতি হয়নি। এই পরিস্থিতিতেই এ রাজ্যের বিধানসভা ভবনের অগ্নি-সুরক্ষার প্রশ্ন ও প্রসঙ্গ উঠে এসেছে।
বিধানসভার অধিবেশন চলার সময় ভবন-চত্বরে একটি দমকলের গাড়ি মজুত থাকে। তবে অধিবেশন না-থাকলে সেই গাড়িটি থাকে না। স্পিকার অবশ্য জানাচ্ছেন, নিজস্ব একটি অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা রয়েছে বিধানসভার। তিনি বলেন, “দুর্ঘটনা যে-কোনও ভাবেই ঘটতে পারে। হঠাৎ একটা বাজ পড়ে যাতে আগুন লাগতে না-পারে, তার জন্য ওই রক্ষাকবচের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
অগ্নি-সুরক্ষার কাজ যে অনেকটা হয়েছে, তা নজরে পড়েছে বিধানসভায় নিয়মিত যাতায়াত করা লোকজনেরও। তাঁরা বলছেন, বিধানসভা ভবনে স্পিকারের ঘর এবং মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের মধ্যবর্তী অংশে লিফ্টের পাশেই সিঁড়ি। তার নীচে কিছু দিন আগেও বৈদ্যুতিক তারের জঙ্গল ছিল। তা সরানো হয়েছে। তা ছাড়া অধিবেশন চলাকালীন সিঁড়ির নীচেই স্টোভ জ্বালিয়ে চা তৈরি করা হত। তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তবে বিধানসভার মূল ভবনে ঢুকে ডান দিকের অংশে বহু পুরনো আলমারি এবং অন্যান্য জিনিসপত্র ঠেসে রাখা আছে অপরিসর জায়গায়। বিধানসভার কর্মীদের বক্তব্য, ওই সব জায়গা সাফ করতে না-পারলে যে-কোনও সময়েই আগুন লেগে বিপত্তি ঘটতে পারে। তা ছাড়া বিধানসভা-চত্বরের যে-বাড়িতে সচিবালয় এবং বিধায়কদের টিকিট বুকিং-সহ বিভিন্ন কাজকর্ম হয়, তার দোতলার বারান্দায় অনেকটা জায়গায় কাগজপত্র স্তূপাকার হয়ে রয়েছে। সেখানে আগুন লাগলে বড় বিপত্তির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানাচ্ছেন বিধানসভার কর্মীদের একাংশ।
বিধানসভায় অগ্নি-নিরাপত্তার ব্যাপারে কী বলছেন দমকলকর্তারা?
দমকলের এক শীর্ষ কর্তা জানান, বিধানসভা ভবন মার্শালের অধীন। তার ফলে দমকল স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদারকির কাজ চালাতে পারে না। “যখন অগ্নি-সুরক্ষা খতিয়ে দেখতে ডাকা হয়, তখনই দমকলের কর্মী-অফিসারেরা সেখানে যান। বছরে এক বার মহড়াও দেওয়া হয়,” বললেন দমকলের ওই কর্তা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy