প্রচারে অশোক ভট্টাচার্য। সঙ্গে রমলা চক্রবর্তী। বুধবার। —নিজস্ব চিত্র।
বিধাননগর পুর-নিগমে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য সাধারণ মানুষকে সাহস সঞ্চয় করতে বলছেন বাম নেতারা। কিন্তু সাধারণ মানুষের আগে সেই সাহস দলীয় নেতৃত্বকেই দেখাতে হবে। পুর-নিগমের জন্য সিপিএমের প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে এসে দলীয় নেতাদের এমনটাই পরামর্শ দিলেন শিলিগুড়ির মেয়র তথা রাজ্যের প্রাক্তন পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। এ ছাড়া, কোনও ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গে দলের নেতাদেরই তার প্রতিবাদ করতে হবে বলেও মত অশোকবাবুর।
বিধাননগর পুর-নিগমের জন্য প্রচারে নেমে গৌতম দেব থেকে শুরু করে মেয়র পদপ্রার্থী অসীম দাশগুপ্ত, প্রত্যেকে একটি কথাই বারবার করে বলছেন। তা হল, যে কোনও মূল্যে প্রত্যেক ভোটার যেন নিজের ভোট নিজে দেন। কোনও ধরনের সন্ত্রাসের সামনে তাঁরা যেন ভয় না পান।
বুধবার অশোকবাবু সল্টলেকে এসে বলেন, ‘‘মানুষের আগে দলীয় নেতৃত্বকেই সাহস করে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। গোলমাল হলে তিন দিন পরে নয়, সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’’
সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের দাবিতে বিধাননগরে নাগরিকদের নিয়ে ‘সিটিজেন্স ফোরাম’ হয়েছে। তার পুরোভাগে রয়েছেন সিপিএমের গৌতম দেব, কংগ্রেসের অরুণাভ ঘোষের মতো নেতারা। ফলত শিলিগুড়ির আদলেই বিরোধীরা বিধাননগরেও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছেন বলে দেখা গিয়েছে। লোকমুখে যাকে বলা হচ্ছে ‘শিলিগুড়ি মডেল’।
অশোকবাবুর অবশ্য দাবি, ‘‘শিলিগুড়ি মডেল বলে আলাদা করে কিছু নেই। এটা বামফ্রন্টেরই মডেল। মানুষ সাহস করে শিলিগুড়িতে আমাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে নিজেরা নিজেদের ভোট দিয়েছেন। তারই প্রতিফলন এখন সর্বত্র দেখা যাচ্ছে।’’
প্রবল বৃষ্টিতেই এ দিন ২০৬ বাস স্ট্যান্ড ও এফ ডি ব্লকে সভা করেন অশোকবাবু। দু’টি সভাতেই তাঁর সঙ্গে ছিলেন মেয়র পদপ্রার্থী অসীম দাশগুপ্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy