বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনের পর আবারও প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচিতে মুখোমুখি হতে পারেন মমতা-শুভেন্দু। ফাইল চিত্র।
বছর শেষে এক দিনের সফরে কলকাতায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী ৩০ ডিসেম্বর শুক্রবার তাঁর কলকাতায় আসার কথা। ওই দিন শহরে জোড়া কর্মসূচি রয়েছে মোদীর। আর এই জোড়া কর্মসূচিতে একসঙ্গে উপস্থিত থাকতে পারেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও রাজ্যে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচিতে থাকলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে সেখানে আমন্ত্রণ জানাতে হয়। সেই নিয়মমাফিক মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুকেও। বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী দলনেতাকে নিজের ঘরে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। তিন জন সতীর্থ বিধায়ককে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। সেই ঘটনা নিয়ে বিস্তার জলঘোলা হয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। সেই ঘটনার পর আবারও প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচিতে মুখোমুখি হতে পারেন মমতা-শুভেন্দু।
বিধানসভায় সাক্ষাৎপর্বের পরেই আবার মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ শানিয়ে তাঁর গড় দক্ষিণ কলকাতার হাজরায় জনসভা করে এসেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। পাশাপাশি, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপির জনসভায় অংশ নিয়ে তিনি আক্রমণ করছেন মমতার নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারকে। এমতাবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর সামনে তাঁদের ফের মুখোমুখি হওয়াকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলেই মনে করছেন রাজ্য রাজনীতির কারবারিদের একাংশ। শুক্রবার হাওড়া স্টেশন থেকে ‘বন্দে ভারত’ এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করার কথা মোদীর। অনুষ্ঠানটি হবে হাওড়া স্টেশনে। এ ছাড়াও জাতীয় গঙ্গা পরিষদ (ন্যাশনাল গঙ্গা কাউন্সিল)-এর বৈঠকেও তাঁর উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। সেই বৈঠক হবে গার্ডেনরিচে নৌসেনার কার্যালয়ে। শুক্রবার সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নামবেন মোদী। বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে তিনি পৌঁছবেন রেস কোর্সের মাঠে। সেখানে তাঁকে রাজ্য বিজেপির তরফে স্বাগত জানাতে যাবেন শুভেন্দু। তার পর থেকে প্রায় সব কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন তিনি। রাজ্যের তরফেও তাঁকে স্বাগত জানানোর বন্দোবস্ত করা হবে। সে ক্ষেত্রে রাজ্যের তরফে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে কে যাবেন তা এখনও জানানো হয়নি।
হাওড়ায় ‘বন্দে ভারত’ ট্রেনের সূচনাপর্ব সেরে মোদীর পরের গন্তব্য গার্ডেনরিচে ভারতীয় নৌসেনার পূর্বাঞ্চলীয় কার্যালয়। সেখানে তিনি নেতাজির মূর্তিতে শ্রদ্ধা জানাবেন। সেখানেই ‘নমামি গঙ্গে’ এবং ‘ডিডব্লিউএস’-এর একটি প্রদর্শনীতে তাঁর হাজির থাকার কথা। হাওড়া ও গার্ডেনরিচের দুই কর্মসূচিতেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। তবে তিনি এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত কোনও বার্তা দেয়নি নবান্ন। বিরোধী দলনেতার দফতরেও ইতিমধ্যে আমন্ত্রণ পৌঁছে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সব কর্মসূচিতে অংশ নেবেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy