তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। —ফাইল চিত্র।
মুঠো কি তবে আলগা হচ্ছে ‘দাদা’র?
নিজের ‘খাসতালুক’, পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েত ইতিমধ্যেই হাতছাড়া হয়েছে জমি কমিটির কাছে। এলাকায় আরও কিছু গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির আসনে পরাজিত হয়েছে তৃণমূল। গণনার দিন গোলমালের জেরে তাঁর নিজেরই হেনস্থা হয়েছে পুলিশ, র্যাফের হাতে। দীর্ঘক্ষণ গণনাকেন্দ্রের ভিতরে মাটিতে বসিয়ে রাখা হয়েছিল তাঁকে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে একের পর এক সন্ত্রাসের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের। দলের অন্দরেও তাঁকে নিয়ে সমালোচনা বিস্তর।
এই পরিস্থিতিতে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চাইলেন আরাবুল।
বৃহস্পতিবার ভাঙড়ের হাতিশালায় তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন এলাকায় দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সওকাত মোল্লা। সেখানেই ভোটে দলের ফলাফলের দায়ভার নিজের কাঁধে নিয়ে আরাবুল বলেন, ‘‘দল চাইলে আমি অব্যাহতি চাই।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আমার জায়গায় অন্য কেউ দায়িত্ব নিলে আমি সব থেকে বেশি খুশি হব।’’ কিছুটা অভিমানের সুরেই বলেন, ‘‘আমি সকলের জন্য কাজ করতে পারিনি।’’
বৈঠক চলাকালীন পরাজিত প্রার্থীদের কাউকে কাউকে দেখে কিছুটা মেজাজ হারান আরাবুল। তাঁরই ঘনিষ্ঠ রাজ্জাক মোল্লাকে দেখে বলেন, ‘‘তুই এখানে কী করতে এসেছিস? হেরে গিয়েছিস, বাইরে চলে যা।’’
মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন থেকে গণনার দিন পর্যন্ত এলাকায় আইএসএফের দাপট দেখেছে রাজ্যবাসী। এই পরিস্থিতিতে দলকে কী ভাবে চাঙ্গা করা যাবে, তা নিয়ে চিন্তিত দলীয় নেতৃত্ব। সওকাত বুধবারই বলেছিলেন, ‘‘এখানে (ভাঙড়ে) যেন মনে হচ্ছে, আফগানিস্তানের যুদ্ধ চলছে।’’ এ দিন বৈঠকে সওকাত অবশ্য আরাবুলের পক্ষ নিয়েই বলেন, ‘‘আরাবুলের দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। ভাঙড়ের দায়িত্বে তিনিই থাকবেন।’’ সওকাতের কথায়, ‘‘ভোটে হার-জিত থাকবে। তাই নিয়ে ভেঙে পড়লে চলবে না। কেন এমন ফল, তার মূল্যায়ন করতে হবে।’’ সবাইকে মানুষের আরও কাছে যেতে বলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy