—ফাইল চিত্র।
বিজেপি তাঁকে ‘শাস্তি’ দিলেও হাত ছাড়েনি। দলের মধ্যে ‘শাস্তি পাওয়া’ বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা জানালেন, ‘শাস্তি’স্বরূপ খোয়ানো পদ আবার তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে বিজেপি। বদলে শুধু তাঁকে কিছু শর্ত মেনে চলতে বলা হয়েছে পদ্ম নেতৃত্বের তরফে।
কী সেই শর্ত তা স্পষ্ট করেননি অনুপম। যদিও মঙ্গলবার রাতে তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় পদক্ষেপ ঘোষণার তিন ঘণ্টা পরেই একটি ফেসবুক পোস্ট করেছেন। সেখানেই অনুপমের দাবি, শর্তসাপেক্ষে তাঁকে বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদকের পদ ফিরিয়ে দিতে চেয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। অনুপম লিখেছেন, ‘‘দল বলেছে, কিছু শর্ত মেনে চললে আবার সব আগের মতো।’’
‘দলকে অস্বস্তিতে ফেলা’র অভিযোগে অভিযুক্ত অনুপমকে মঙ্গলবার রাতেই বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বাংলা সফরে আসা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা ওই সিদ্ধান্ত নেন। এর পরেই মধ্যরাতে একটি ফেসবুক পোস্ট করে অনুপম জানান তাঁর কাছে আসা বিজেপি নেতৃত্বের বিশেষ প্রস্তাবের কথা।
প্রসঙ্গত, একনাগাড়ে রাজ্য নেতৃত্বের সমালোচনা করা, তৃণমূলের মঞ্চে যাওয়া, সমাজমাধ্যমে দলকে অস্বস্তিতে ফেলার মতো মন্তব্য করে চলছিলেন অনুপম। এটা যে রাজ্য নেতৃত্ব ভাল চোখে দেখছেন না তা আগেই বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও সেটা বুঝিয়ে দেন অনুপমকে। সম্প্রতি সর্বভারতীয় নেতা হওয়া সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে অনুপমকে দেওয়া ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা তুলে নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। যা সরাসরি দেখেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ। তবে তার পরেও দমেননি অনুপম। দল-বিরোধী ফেসবুক পোস্ট জারি ছিল তাঁর। বাংলায় বিজেপির ‘অনুপম-অস্বস্তি’ কাটছে না দেখেই এর পর তাঁর সর্বভারতীয় পদ কেড়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বিজেপি নেতৃত্ব। মঙ্গলবারই বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং সদর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত নেতা অরুণ সিংহ একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। তার ঠিক তিন ঘণ্টা পরেই ওই পোস্ট করেন অনুপম।
অনুপমের এই দাবি কতটা সত্যি, তা নিয়ে বিজেপির তরফে মুখ খুলছেন না কেউ। তবে এক রাজ্য নেতা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘রাজনীতিতে আর কোনও গুরুত্বই রইল না অনুপমের। বিজেপির মতো বিশ্বের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের সর্বভারতীয় সম্পাদক পদের সম্মান উনি রাখতে পারেননি। এখন ফেসবুকে ভেসে থাকার চেষ্টা করছেন।’’
উল্লেখ্য, বর্তমানে বাংলার বিজেপি নেতা হলেও এক সময় তৃণমূলে ছিলেন অনুপম। বোলপুরের তৃণমূল সাংসদ ছিলেন তিনি। গত লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy