আসানসোল জেলে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন। — ফাইল চিত্র।
ভাইফোঁটা উপলক্ষে খুশির আবহ আসানসোল সংশোধনাগারে। সকালেই ভাইফোঁটার আয়োজন করা হয়েছিল জেল কর্তৃপক্ষের তরফে। মধ্যাহ্নভোজে বন্দিদের জন্য বিশেষ পদের ব্যবস্থাও হয়েছিল। ওই জেলে রয়েছেন গরু পাচার-কাণ্ডে ধৃত বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, উৎসবের আবহ ছুঁয়েছে তাঁকেও।
আসানসোল সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে বন্দিদের জন্য ভাইফোঁটার আয়োজন করা হয়। জেলের ভিজিটর্স রুমে বন্দিদের অনেকেই ভাইফোঁটা নিয়েছেন তাঁদের বোনেদের কাছ থেকে। ফোঁটা দেওয়ার পর জেলবন্দি দাদা বা ভাইয়ের হাতে পায়েস, মিষ্টির প্লেট তুলে দিতেও দেখা গিয়েছে। যদিও অনুব্রতকে কেউ ফোঁটা দিতে আসেননি বলেই জেল সূত্রে জানা গিয়েছে। দুপুরে বন্দিদের জন্য এলাহি খাবারদাবারের আয়োজনও করা হয়েছিল। নিয়মিত ডায়েটের বাইরে সেই খাবারও কিছুটা খেয়েছেন অনুব্রত।
বৃহস্পতিবার ভাইফোঁটা উপলক্ষে জেলে দুপুরের মেনুতে ছিল ফ্রায়েড রাইস, মুরগির মাংস, মিষ্টি, চাটনি, পাঁপড়, দই এবং রসগোল্লা। নিরামিষাশীদের জন্য ছিল মাংসের বদলে পনির। এমনটাই জেল সূত্রে জানা গিয়েছে। কালীপুজোর দিন এই মেনু ঠিক করেছিলেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু, বিচারাধীন বন্দিদের একাংশ জানান, তাঁরা কালীপুজোয় উপোস করতে চান। এর পরেই দিন বদলে ভাইফোঁটায় এমন মেনুর আয়োজন করা হয়।
এর আগে অনুব্রতকে তাঁর বোনেরা নিয়মিত ভাইফোঁটা দিতেন। কিন্তু গত কয়েক বছরে তাঁর মা এবং স্ত্রীবিয়োগের পর এই অনুষ্ঠানে কিছুটা ভাটা পড়ে। গত দু’বছর অনুব্রত কোনও ফোঁটা নেননি কারও কাছে। জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি আহার সেরেছেন অল্প ফ্রায়েড রাইস এবং মুরগির মাংস দিয়ে। এ ছাড়াও পনির, চাটনি, পাঁপড় এবং মিষ্টি খেয়েছেন সামান্য।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ অক্টোবর অর্থাৎ মঙ্গলবার আসানসোল সংশোধনাগার থেকে জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অনুব্রতকে। সেখানে রুটিন চেক আপ করা হয় তাঁর। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর ৯ কিলোগ্রাম ওজন কমেছে। এর আগে তাঁর ওজন ছিল ১০৯ কিলোগ্রাম। মাস দুয়েকের ব্যবধানে তাঁর ওজন কমে হয়েছে ১০০ কেজি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy