প্রতীকী ছবি।
রাজ্যে এখনও বার্ড ফ্লু সংক্রমণের কোনও খবর নেই। কিন্তু আগাম সর্তকতা হিসেবে হাঁস-মুরগিদের স্বাস্থ্যে নজরদারির কাজ শুরু করছে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতর। তারা জানিয়েছে, কাল, সোমবার থেকেই প্রায় ১০ হাজার প্রাণী-বন্ধু কাজ শুরু করবেন। রোগ প্রতিষেধক দেওয়ার পাশাপাশি হাঁস-মুরগির খামারগুলি পরিষ্কার রাখার ব্যাপারে মালিকদের নিয়ে কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁদের।
পশুপাখির স্বাস্থ্যকর্মীরাই প্রাণী-বন্ধু নামে পরিচিত। রাজ্যে প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে নানা কাজ করেন এঁরা। রোগের হানা ঠেকাতেও তাঁদের বিশেষ প্রশিক্ষণ রয়েছে। প্রাণিসম্পদ বিকাশ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ শনিবার বলেন, ‘‘কোনও রোগের খবর আমাদের রাজ্যে নেই। আমাদের প্রতিটি খামারের মুরগি, হাঁস সুস্থ-সবল রয়েছে। শুধু সতর্ক থাকার জন্যই প্রাণী-বন্ধুদের মাঠে নামতে বলা হয়েছে।’’
ওডিশার কয়েকটি জায়গায় বার্ড ফ্লু হানা দিয়েছে বলে সম্প্রতি খবর মিলেছে। তার জেরে ওডিশা থেকে মুরগি, ডিম আনা যাবে না বলে ইতিমধ্যেই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক। ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড সীমানায় চেকপোস্ট তৈরি করে নজরদারি শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসন।
প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতর এবং পশু চিকিৎসকদের মতে, শীত ও গ্রীষ্মের মাঝামাঝি সময়ে পরজীবীরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। এ সময়ে মুরগিদের ‘রানিখেত’ বা ‘নিউ ক্যাসল’-সহ কিছু ভাইরাসবাহিত রোগ হয়। সে সব রোগের ওষুধও রয়েছে। প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘অন্য ভাইরাসবাহিত রোগকে বার্ড ফ্লু হিসেবে চিহ্নিত করে যাতে বিভ্রান্তি না ছড়ানো হয়, সে ব্যাপারেও প্রাণী-বন্ধুদের সতর্ক করা হয়েছে।’’
তবে ওয়েস্ট বেঙ্গল পোলট্রি ফেডারেশনের নেতারা দাবি করছেন, খামার মালিকেরা রোগ নিয়ে আগে থেকেই সচেতন রয়েছেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মদনমোহন মাইতি জানান, ‘রানিখেত’ রোগ প্রতি বছরই এই সময় কিছু খামারে হয়। কিন্তু তার সঙ্গে অন্য কোনও রোগের সম্পর্ক নেই। বার্ড ফ্লু নিয়ে তাঁদের কাছে এখনও কোনও খবর নেই বলেও দাবি করেছেন মদনবাবু।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy