অ্যাংলো ইন্ডিয়ান স্কুলের বার্ষিক সভায় অধ্যক্ষেরা। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
সংবিধান (১২৬তম) সংশোধন বিলে আইনসভায় মনোনয়নের মাধ্যমে অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ আর থাকছে না বলে উল্লেখ রয়েছে। এই নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে ওই সম্প্রদায়ে। দেশের অ্যাংলো ইন্ডিয়ান স্কুলগুলির ৯৮তম বার্ষিক সভায় আলোচ্য হয়ে উঠেছে এই বিল। সভার অনেক প্রতিনিধির বক্তব্য, লোকসভায় মনোনীত প্রতিনিধি না-থাকলে তাঁদের সমস্যার কথা হয়তো সে-ভাবে উঠে আসবে না।
লা মার্টিনিয়ার ফর বয়েজ়ে শনিবার শুরু হয়েছে অ্যাংলো ইন্ডিয়ান স্কুলের ৯৮তম বার্ষিক সভা। চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত। সব রাজ্য থেকেই অ্যাংলো ইন্ডিয়ান স্কুলের অধ্যক্ষেরা সভায় যোগ দিয়েছেন। রবিবার ওই সভায় অ্যাংলো ইন্ডিয়ান স্কুলগুলির নানা সমস্যার সঙ্গে সঙ্গে এই বিল নিয়ে আলোচনা হয়।
সভায় প্রতিনিধিরা জানান, এত দিন ধরে লোকসভায় অ্যাংলো ইন্ডিয়ান সম্প্রদায়ের দু’জন সাংসদ এবং রাজ্য বিধানসভায় এক জন বিধায়ককে মনোনীত করা হত। নরেন্দ্র মোদীর সরকার সংবিধান সংশোধন করে তা বন্ধ করে দিতে চাইছে বলে অভিযোগ উঠছে। অনুষ্ঠানের অন্যতম প্রধান বক্তা, কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী চমা মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সংবিধান সংশোধন বিলে দু’টি বিষয়ের কথা বলা হয়েছে। প্রথমটি হল তফসিলি জাতি ও জনজাতি বা দলিত ও আদিবাসীদের মনোনীত প্রতিনিধির মেয়াদ আরও ১০ বছর বাড়ানো হবে। দ্বিতীয়টি হল, লোকসভায় অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের মনোনীত প্রতিনিধির মেয়াদ বাতিল হবে।’’ চমা জানান, চলতি মাসেই লোকসভায় অ্যাংলো ইন্ডিয়ান মনোনীত সদস্যের মেয়াদ ফুরোচ্ছে। অনেকের মতে, তাঁদের সুবিধা-অসুবিধার কথা বলার জন্য কোনও প্রতিনিধি না-থাকলে অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের মধ্যে অস্তিত্বের সঙ্কট তৈরি হতে পারে।
সম্প্রতি রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে এই বিলের বিরোধিতা করে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘‘দেশে অ্যাংলো ইন্ডিয়ানেরা সংখ্যায় কম হলেও তাঁদের প্রভাব রয়েছে সারা দেশে। অ্যাংলো ইন্ডিয়ান পরিচালিত স্কুল রয়েছে অনেক। লোকসভা থেকে অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের মনোনীত সদস্যকে বাদ দেওয়ার উদ্যোগে অ্যাংলো ইন্ডিয়ানদের প্রতি সরকারের প্রতারণাপূর্ণ আচরণই প্রকাশ পাচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy