অধীর চৌধুরী। —ফাইল চিত্র।
উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই প্রার্থী জিতে আসার পরে তাঁদের শপথ নিয়ে টানাপড়েন চলেছে দীর্ঘ দিন। শেষ পর্যন্ত বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকারকে শপথ গ্রহণ করালেও তা নিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যপাল শপথের জন্য ডেপুটি স্পিকারকে দায়িত্ব দিলেও বিধানসভায় স্পিকার শপথ পাঠ করিয়ে সংবিধান বহির্ভূত কাজ করেছেন। রাজভবন এবং নবান্ন তথা বিধানসভার এই সংঘাত নিয়ে সরব হচ্ছে সব দলই।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আগেই দাবি করেছিলেন, বিধানসভায় বেআইনি ও সংবিধান বহির্ভূত কাজ হয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী শনিবার বলেছেন, “রাজ্য ও রাজ্যপালের বিতর্ক খুবই দৃষ্টিকটু। দু’জন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির শপথগ্রহণ নিয়ে এত ঝঞ্ঝাটের কিছু ছিল না। দিদি ও রাজ্যপালের অহমিকার সংঘাত! রাজ্যপাল-স্পিকার সদ্ভাব তৈরি করতে এক সেকেন্ড সময় লাগে। আইন তো আছেই। কিন্তু আসল হল পারস্পরিক বোঝাপড়া, সম্মান।” সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীরও বক্তব্য, ‘‘বরাবরই আমরা রাজ্যপাল পদের বিরোধী। তৃণমূল বরাবরই দলীয় রাজনীতির বিচারে রাজ্যপালকে দেখে। নির্বাচনের পরে বিধায়কদের শপথ নিয়ে এত খেলা কেন? রাজভবন আর নবান্ন উভয়ের অপদার্থতা স্পষ্ট!’’ তাঁর আরও মন্তব্য, ‘‘অযোগ্য, অপদার্থ রাজ্যপাল! পদটা সাদা হাতি পোষার সমান। অবিলম্বে পদত্যাগ করে ফিরে যান!’’ রাজ্যপালকে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ব্রাত্য বসুও। রাষ্ট্রপতিকে রাজ্যপালের চিঠি প্রসঙ্গে এ দিন মন্ত্রীর কটাক্ষ, “স্পিকার বলেছেন যে, কে কোথায় রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখলেন, কে কোথায় আর্তনাদ করলেন, কে কোথায় গড়াগড়ি খেয়ে কান্নাকাটি করছেন, তাতে কিছু হবে না! স্পিকার জানিয়েছেন, তিনি খুশি। উনি যখন খুশি, আমরাও খুশি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy