ফাইল চিত্র।
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদেও রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আসার লক্ষ্যে বিধানসভায় পাশ হয়ে গেল আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধনী) বিল। এই নিয়ে রাজ্যের মোট ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিল বিধানসভা। এর পরে চূড়ান্ত সম্মতি নির্ভর করছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের উপরে। বিধানসভার চলতি অধিবেশন শেষ হওয়ার কথা আজ, শুক্রবার।
বিধানসভায় বৃহস্পতিবার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধনী) বিল পাশ করাতে গিয়ে সংখ্যালঘু বিষয় ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী গোলাম রব্বানি বলেন, আলিয়ার উন্নতি ত্বরান্বিত করতেই মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য পদে নিয়ে আসা হচ্ছে। বিরোধী দল বিজেপির বিধায়ক বিশ্বনাথ কারকের অভিযোগ, গোটা অধিবেশন জুড়ে সরকার শুধু আচার্য পদে রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে। এর জেরে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি দূরের কথা, শিক্ষা ক্ষেত্রে রাজনীতির প্রবেশের পথ আরও ‘সুগম’ হবে। ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) একমাত্র বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী বলেন, ‘ক্ষমতা কুক্ষিগত’ না করে মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকার বরং আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে নজর দিক। তাঁর বক্তব্য, ওই বিশ্ববিদ্যালয় একটি ‘সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান’ এবং স্বশাসিত। তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক্তিয়ার কি তা হলে খর্ব করা হল? আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ হয়নি, অস্থায়ী উপাচার্য দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে, তা-ও উল্লেখ করেন ভাঙড়ের বিধায়ক। নওশাদের প্রস্তাব, মুখ্যমন্ত্রী আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘আমির-ই জামিয়া’ না হয়ে ‘মনিটর’-এর ভূমিকায় তদারকি করলে প্রতিষ্ঠানের ভাল হবে। মন্ত্রী রব্বানি অবশ্য বিরোধীদের অভিযোগ খণ্ডন করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে গত ১১ বছরে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। সেই প্রক্রিয়াই আরও গতি পাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy