বর্ষা পেরোতেই মহানগরের বাতাসে দূষণ বা়ড়তে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে ফের জাতীয় পরিবেশ আদালতে উঠল কলকাতার বায়ুদূষণ মামলা। সোমবার বিচারপতি এস পি ওয়াংদি এবং বিশেষজ্ঞ সদস্য নাগিন নন্দার ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছে। আদালত নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ মেনেই এই পদক্ষেপ করতে হবে। এই মামলার আবেদনকারী পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত জানান, এত দিন কোন কোন নির্দেশ কার্যকর করা হয়েছে সে ব্যাপারেও রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
২০১৬ সাল থেকে জাতীয় পরিবেশ আদালত কলকাতা ও হাওড়ার বায়ুদূষণ রোধের ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে বলছে। কিন্তু সেই নির্দেশ কতটা কার্যকর হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মামলার আবেদনকারী। তিনি জানান, সেই নির্দেশও বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ মেনে হয়েছিল। পরবর্তী ক্ষেত্রে ফের এক দফা সুপারিশ জমা পড়েছে।
পরিবেশ দফতর সূত্রের খবর, সাধারণ ভাবে শহরের দূষণের পিছনে গাড়ির ধোঁয়া, নির্মাণস্থল থেকে উড়ে আসা ধূলিকণা ও কংক্রিটের গুঁড়ো, জঞ্জাল পো়ড়ানোর ধোঁয়া এবং কলকারখানার ধোঁয়াকেই চিহ্নিত করা হয়েছে। এই দূষণ আটকাতে ১৫ বছরের পুরনো বাণিজ্যিক গাড়ি বাতিল, দূষণ পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো এবং সেই নিয়মের কড়াকড়ি, যানজট কমানো, বৈদ্যুতিক বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি, ট্রাকের ওভারলোডিং বন্ধ করা এবং প্রকাশ্যে জঞ্জাল পো়ড়ানো বন্ধ করার কথা বলা হয়েছে। প্রশাসন সূত্রের দাবি, আদালতের নির্দেশ অনেক ক্ষেত্রেই বাস্তবায়িত করা হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে নতুন পন্থা ও নীতি তৈরি করা হয়েছে। হলফনামার আকারে সেগুলি আদালতে জমাও দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy