Advertisement
২৭ নভেম্বর ২০২৪
WB panchayat Election 2023

‘কিছু জায়গায় রয়েই গেল পানীয় জলের সমস্যা’

পাঁচ বছরের কাজ, বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন জেলা সভাধিপতিরা। আজ জলপাইগুড়ির উত্তরা বর্মণ

Uttara Barman

উত্তরা বর্মণ। —নিজস্ব চিত্র।

শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০২৩ ০৮:০৪
Share: Save:

প্রশ্ন: কোন কাজ অসম্পূর্ণ থেকে গেল?

উত্তর: জেলার সর্বত্র পানীয় জলের সরবরাহ ঠিকমতো পৌঁছে দেওয়া গেল না। তবে চেষ্টা চলছে। বেশ কিছু নদীতে সেতুর প্রয়োজন রয়েছে। তা-ও হল না।

প্রশ্ন: জলপাইগুড়ি জেলার দীর্ঘদিনের অন্যতম প্রধান সমস্যা জলকষ্ট। সে সমস্যা রয়েই গেল কেন?

উত্তর: আমরা চেষ্টা করেছি। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকায় বহু প্রকল্প হয়েছে। যেখানে উৎস নেই, সেখানে জলের ‘এটিএম’ করেছি। তবে মালবাজার, মেটেলি এবং নাগরাকাটা ব্লকে কিছু সমস্যা তো থেকেই গিয়েছে।

প্রশ্ন: জলপাইগুড়ি জেলায় এখনও কিছু চা বাগান বন্ধ, কিছু ধুঁকছে। শ্রমিকেরা কষ্টে রয়েছেন!

উত্তর: আমরা রাজ্যকে জানিয়েছি, রিপোর্ট পাঠিয়েছি। রাজ্য চেষ্টা করছে।

প্রশ্ন: আবাস দুর্নীতি নিয়ে জেলায় এত বিক্ষোভ হল কেন?

উত্তর: আসলে আবাস নিয়ে যা বলা হচ্ছে, তা ঠিক দুর্নীতি নয়। ২০১৮ সালে যিনি ভাঙাচোরা, দরমা-বেড়ার ঘরে থাকতেন, তিনি ২০২৩ সালেও তো তেমন ভাবে না-ও থাকতে পারেন। তাই তখনকার সমীক্ষার সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতি না-ও মিলতে পারে। পরিদর্শনকারী দল এসে সেটাই দেখছে। নাম কেটে দিচ্ছে। এই নিয়ে ক্ষোভের জবাবদিহি কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপিকে দিতে হবে।

প্রশ্ন: একশো দিনের কাজে কেন্দ্রীয় দল জলপাইগুড়ি জেলায় এসে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিল।

উত্তর: এত বার কেন্দ্রীয় দল এসেছে, কোনও অনিয়ম প্রমাণ করতে পারেনি। এক বার তো দল এসে, জেলার কাজের প্রশংসা করে গিয়েছে। উল্টে, টাকা বন্ধ রেখে এখন নিজেরাই অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করছে।

প্রশ্ন: ‘কাটমানি’ না দিলে জেলায় সরকারি প্রকল্পের উপভোক্তা হওয়া যায় না, এমন অভিযোগও রয়েছে।

উত্তর: অভিযোগ রয়েছে, কিন্তু প্রমাণ হয়নি। কিছু অভিযোগ আমরাও শুনেছি, কিন্তু প্রমাণ কোথায়? এ সব রাজনৈতিক কারণে অভিযোগ করা।

প্রশ্ন: জেলার বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে ‘দিদির দূতেরা’ বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। রাস্তা নেই, জল নেই— অনেক অভিযোগ। জেলা পরিষদ এত দিন কী করল?

উত্তর: মানুষের দাবিদাওয়া শুনতেই আমরা, ‘দিদির দূতেরা’ গিয়েছিলাম। সেটাকে বিক্ষোভ বলছেন কেন? দাবিদাওয়া বলুন।

প্রশ্ন: নিয়োগ দুর্নীতিতে একাধিক ব্যক্তির চাকরি গিয়েছে জেলায়। বহু টাকা লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। জনপ্রতিনিধিদের নামও জড়িয়েছে।

উত্তর: এ নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। কিছু বলব না।

প্রশ্ন: প্রতিবারই দেখা যায় মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের শতাংশের নিরিখে জলপাইগুড়ি জেলার স্থান একেবারে শেষে।

উত্তর: আমরা অনেক স্কুলের পরিকাঠামোগত সংস্কার করেছি। শুধু শিক্ষা কেন, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রও গড়ে দিয়েছি। সে প্রক্রিয়া চলছে।

প্রশ্ন: প্রশ্ন গত পাঁচ বছরে নিজেদের কাজের কী মূল্যায়ন করবেন?

উত্তর: আমাদের বোর্ড মানুষের প্রয়োজন জেনে, সেই অনুযায়ী পরিকাঠামোর কাজ করেছে।

সাক্ষাৎকার: অনির্বাণ রায়

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy