উত্তরা বর্মণ। —নিজস্ব চিত্র।
প্রশ্ন: কোন কাজ অসম্পূর্ণ থেকে গেল?
উত্তর: জেলার সর্বত্র পানীয় জলের সরবরাহ ঠিকমতো পৌঁছে দেওয়া গেল না। তবে চেষ্টা চলছে। বেশ কিছু নদীতে সেতুর প্রয়োজন রয়েছে। তা-ও হল না।
প্রশ্ন: জলপাইগুড়ি জেলার দীর্ঘদিনের অন্যতম প্রধান সমস্যা জলকষ্ট। সে সমস্যা রয়েই গেল কেন?
উত্তর: আমরা চেষ্টা করেছি। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকায় বহু প্রকল্প হয়েছে। যেখানে উৎস নেই, সেখানে জলের ‘এটিএম’ করেছি। তবে মালবাজার, মেটেলি এবং নাগরাকাটা ব্লকে কিছু সমস্যা তো থেকেই গিয়েছে।
প্রশ্ন: জলপাইগুড়ি জেলায় এখনও কিছু চা বাগান বন্ধ, কিছু ধুঁকছে। শ্রমিকেরা কষ্টে রয়েছেন!
উত্তর: আমরা রাজ্যকে জানিয়েছি, রিপোর্ট পাঠিয়েছি। রাজ্য চেষ্টা করছে।
প্রশ্ন: আবাস দুর্নীতি নিয়ে জেলায় এত বিক্ষোভ হল কেন?
উত্তর: আসলে আবাস নিয়ে যা বলা হচ্ছে, তা ঠিক দুর্নীতি নয়। ২০১৮ সালে যিনি ভাঙাচোরা, দরমা-বেড়ার ঘরে থাকতেন, তিনি ২০২৩ সালেও তো তেমন ভাবে না-ও থাকতে পারেন। তাই তখনকার সমীক্ষার সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতি না-ও মিলতে পারে। পরিদর্শনকারী দল এসে সেটাই দেখছে। নাম কেটে দিচ্ছে। এই নিয়ে ক্ষোভের জবাবদিহি কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপিকে দিতে হবে।
প্রশ্ন: একশো দিনের কাজে কেন্দ্রীয় দল জলপাইগুড়ি জেলায় এসে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিল।
উত্তর: এত বার কেন্দ্রীয় দল এসেছে, কোনও অনিয়ম প্রমাণ করতে পারেনি। এক বার তো দল এসে, জেলার কাজের প্রশংসা করে গিয়েছে। উল্টে, টাকা বন্ধ রেখে এখন নিজেরাই অস্থির পরিস্থিতি তৈরি করছে।
প্রশ্ন: ‘কাটমানি’ না দিলে জেলায় সরকারি প্রকল্পের উপভোক্তা হওয়া যায় না, এমন অভিযোগও রয়েছে।
উত্তর: অভিযোগ রয়েছে, কিন্তু প্রমাণ হয়নি। কিছু অভিযোগ আমরাও শুনেছি, কিন্তু প্রমাণ কোথায়? এ সব রাজনৈতিক কারণে অভিযোগ করা।
প্রশ্ন: জেলার বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে ‘দিদির দূতেরা’ বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন। রাস্তা নেই, জল নেই— অনেক অভিযোগ। জেলা পরিষদ এত দিন কী করল?
উত্তর: মানুষের দাবিদাওয়া শুনতেই আমরা, ‘দিদির দূতেরা’ গিয়েছিলাম। সেটাকে বিক্ষোভ বলছেন কেন? দাবিদাওয়া বলুন।
প্রশ্ন: নিয়োগ দুর্নীতিতে একাধিক ব্যক্তির চাকরি গিয়েছে জেলায়। বহু টাকা লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। জনপ্রতিনিধিদের নামও জড়িয়েছে।
উত্তর: এ নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। কিছু বলব না।
প্রশ্ন: প্রতিবারই দেখা যায় মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের শতাংশের নিরিখে জলপাইগুড়ি জেলার স্থান একেবারে শেষে।
উত্তর: আমরা অনেক স্কুলের পরিকাঠামোগত সংস্কার করেছি। শুধু শিক্ষা কেন, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রও গড়ে দিয়েছি। সে প্রক্রিয়া চলছে।
প্রশ্ন: প্রশ্ন গত পাঁচ বছরে নিজেদের কাজের কী মূল্যায়ন করবেন?
উত্তর: আমাদের বোর্ড মানুষের প্রয়োজন জেনে, সেই অনুযায়ী পরিকাঠামোর কাজ করেছে।
সাক্ষাৎকার: অনির্বাণ রায়
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy