Advertisement
২২ ডিসেম্বর ২০২৪
Visva Bharati University

হাই কোর্টের নির্দেশে ফের গবেষণার সুযোগ

বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ সোমবার বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ মেনেই ওই ছাত্রীকে ভর্তি করা হয়েছে। গবেষণার কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁকে আগাম অভিনন্দন।’’

Representative Image

—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০২৪ ০৫:৫০
Share: Save:

বছর দুয়েক আগে এক আদিবাসী ছাত্রীকে গবেষণার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছিল বিশ্বভারতীর বিরুদ্ধে। আদালতের নির্দেশে বিশ্বভারতীতেই গবেষণা করার সুযোগ পেলেন ওই ছাত্রী। এর ফলে খুশি ওই ছাত্রী ও তাঁর পরিবার-পরিজন। বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক অতিগ ঘোষ সোমবার বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ মেনেই ওই ছাত্রীকে ভর্তি করা হয়েছে। গবেষণার কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য তাঁকে আগাম অভিনন্দন।’’

বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে হুগলি জেলার বাসিন্দা পাপিয়া মান্ডি বিশ্বভারতীর শিক্ষা বিভাগ থেকে পিএইচডির জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু, গবেষণার ক্ষেত্রে সংরক্ষণ নীতিকে ‘উপেক্ষা’ করে ওই ছাত্রীকে গবেষণার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। এ নিয়ে ওই ছাত্রী বারবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরেও তাঁর আবেদন গ্রাহ্য করা হয়নি বলেও অভিযোগ। এর পরে ২০২৩ সালের জুলাইয়ে ওই পড়ুয়া বিশ্বভারতীর তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে জাতীয় তফসিলি জাতি-জনজাতি কমিশনে লিখিত অভিযোগ করেন।

সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের তরফে উপাচার্যকে চিঠি পাঠানো হয়। তাতে বলা হয়, চিঠি পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে উপাচার্যকে অভিযোগ সম্পর্কে কমিশনকে লিখিত ভাবে জানাতে হবে। উত্তর না পেলে প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা এবং উপাচার্যকে সশরীর বা তাঁর প্রতিনিধি পাঠিয়ে দিল্লিতে কমিশনের অফিসে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় চিঠিতে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের অবস্থানে অনড় ছিল।এর পরেই গত বছর ডিসেম্বরে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন পাপিয়া। সম্প্রতি হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, ২০২২-২২৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ওই ছাত্রীর নাম পিএইচডির প্রোগ্রামে নথিভুক্ত করতে হবে। সেই মতো বিশ্বভারতীর অ্যাডমিশন সেলের তরফে গত শুক্রবার ওই ছাত্রীকে ভর্তি নেওয়া হয়।

পাপিয়া বলেন, “তফসিলি জনজাতির মধ্যে আমার নাম সবার আগে থাকা সত্ত্বেও অন্যায় ভাবে আমাকে গবেষণা করার সুযোগ থেকে এত দিন বঞ্চিত করা হয়েছিল। এ নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েও সুফল মেলেনি। তাই বাধ্য হয়ে বিচারের আশায় আমি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। আদালতের নির্দেশে পিএইচডিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়ে সত্যি ভাল লাগছে।” পাপিয়ার মা লক্ষ্মী মান্ডি বলেন, “আদালত আমাদের হায় হয়েছে। মেয়ে আবার গবেষণা করার সুযোগ পেল। আমি চাই সে অনেক বড় হোক।”

অন্য বিষয়গুলি:

Visva Bharati University Calcutta High Court
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy